Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

দুর্গাপুরে অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে প্রশাসনের একশন, ১ জনের জেল

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও রাজশাহীর দুর্গাপুরে দিনে দিনে বেড়েছেই চলেছে অবৈধ পুকুর খনন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চলছে এই খনন কার্য। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। পুকুর খননকারী চক্র বিভিন্ন এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে নিরীহ কৃষকদেরবেশি টাকার লোভে পড়ে অনেকেই তাদের জমি লিজের মাধ্যমে পুকুর খনন করতে দিয়ে দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
যদি কেউ জমি দিতে অস্বীকৃতি জানায় তবে কৌশলে জমি মাঝখানে ফেলে কৃষকদের বেকায়দায় ফেলে পুকুরে জমি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে আশঙ্কাজনক ভাবে কমছে এই এলাকার ফসিল জমি। এতে করে জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। পুকুর খনন করায় স্থায়ীভাবে জমির মালিকত্ব হারাচ্ছে জমির মালিকরা- এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

আর ভেকু দালাল চক্র দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এস্কোভেটর(ভেকু) মেশিন এনে বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে পুকুর খনন কার্যক্রম চালাতো। জমির টপ সয়েল বিক্রি করা হতো এলাকার বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি পরিবহনে ফলে এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে কাঁদায় পিচ্ছিল হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

এরই মধ্যে তিন ফসলী জমিতে অবৈধ পুকুর খননকারিদের লাগাম টানতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুভ দেবনাথ নেতৃত্বে গত দুই দিন উপজেলার অঙ্গার বীল,পারিলা, দাওকান্দী, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়, এসময় বেশকিছু ভেকু মেশিন নিষ্ক্রিয় ও একজনকে ৭ দিনের জেল দেওয়া হয়।

এসিল্যান্ড সুভ দেবনাথ জানান, গত দুইদিন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে, গোপালপুরের মৃধা পাড়ায় কারেন্টের পোল ঘেঁষে পুকুর খনন চলছিল, ফলে কারেন্টের পোল ভেঙে গোটা এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাদের একাধিকবার নিষেধ করে চিঠি দেওয়া হলেও তা তোয়াক্কা না করে পুকুর খনন চালিয়ে যায়। ফলে সরকারী সম্পদ রক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য অভিযান পরিচালনা করে আকবর আলী নামের ব্যক্তিকে সাত দিনের জেল দেওয়া হয়।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধা বলেন, উপজেলায় অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন মাঠে নেমেছে। এবং অন্যের জমি জোর করে পুকুর খনন, খাস-জমিতে পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনে উল্লেখ রয়েছে, বাংলাদেশের যে সকল কৃষি জমি রয়েছে, সেগুলো এই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা করতে হবে এবং কোন ভাবেই জমির ব্যবহার ভিত্তিক শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। তবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কোন বিশেষ ক্ষেত্রে এবং উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি মোতাবেক অত্র বিধানাবলী পরিবর্তন করা যাবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ