কৃষক কুদ্দুস আলী জানান, আমি এই সবজি খেত দেখ
ভাল করি,চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে ফসল বিক্রি পর্যন্ত সব কিছুই আমি করি। মালিক এই সবজির কথা আমায় যখন বলে, কিছুটা বিব্রতকর লেগেছিল। বিদেশি সবজি আমাদের দেশে কিভাবে ফলা ব'? এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। ভাবলাম চারা উৎপাদন করে, দুর্গাপুর কৃষি অফিসের সহযোগিতা নেবো।
লিক আলতাফ হোসেন সূদুর দক্ষিণ কোরিয়া হতে, এই বীজ সংগ্রহ করে। খুব সুন্দর চারা উঠেছিল। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি তিন বিঘা জমিতে এই সবজি রোপণ করি। তেমন কোন কীটনাশকের প্রয়োজন হয়নি, শুধুমাত্র আলোক ফাঁদ ব্যবহার করেছে। বীজ থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে আমি ৭০০,৮০০ "স্কোয়াশ" উৎপাদন হয়।
এগুলো দুর্গাপুর ও রাজশাহীতে প্রতিপিস ১৮ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করি। খুবই স্বল্প সময়ে এগুলো বিক্রি হয়ে যায়। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বিক্রি হয়েছে,আরো দেড় লক্ষ টাকার আশা করছি। এই সফলতার পেছনে কৃষি অফিসের অনেক ভুমিকা রয়েছে, তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কারণেই এই সফলতা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মশিউর রহমান জানান, এই সবজিটি বাংলাদেশের নতুন,অনেক পুষ্টিকর হওয়ার কারণে দেশ ও দেশের বাহিরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই সবজির ইউরোপ ও আমেরিকা তে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এটি শীতকালীন সবজি দুর্গাপুরের জলবায়ু এটি উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।
কোন কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদন সম্ভব। এটি উৎপাদনে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে হবে, সেইসাথে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এতে করে উৎপাদন খরচ কম্বে বাড়তি লাভ হবে কৃষকদের। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
0 মন্তব্যসমূহ