উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহসড়কের ঝলমলিয়া কোল্ডষ্টোরের পশ্চিম পাশে ও সেনভাগ নামক স্থানে প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তার পূর্ণনির্মাণ কাজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডির অধিনে দু’স্থানে নতুন কার্পেটিং করতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৭১ লাখ টাকা। আর সড়ক নির্মাণ কাজটি করছেন রাজশাহীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রোকেয়া ট্রেডার্স।
কানাইপাড়া গ্রামে মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, গত কয়েকদিন আগে থেকে এই রাস্তার পূণঃনির্মাণ কাজটি শুরু হয়। নিয়ম অনুসারে রাস্তার পুরোনো কাপেটিং ফেলে নতুন করে কাজ করা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা না করে অতিন্মিমানের ইট-খোয়া দিয়ে নামমাত্র কাজ করছেন। কোথাও খোয়ার পরিবর্তে পুরনো ভবনের ডাস্ট ফেলে তা বালু দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে।
আজগর আলী নামের একজন পথচারী বলেন, ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের সাথে বিশেষ সমঝোতা করে এই রাস্তাটি অতিনিন্মমানের কাজ করছে। এরমধ্যে তিন নং ইটের খোয়ার সাথে ঝুনা প্রিকেট মিশিয়ে তা ব্যবহার করছেন।
মহাসড়কের পাশে মাত্র ১০-১২ মিটার কাজে ভালো খোয়া দিলেও বাকি পুরো রাস্তা খুবই খারাপ করছে। তনি আরো বলেন, এ সকল অনিয়মের কারণে রাস্তাটি নির্মাণের বছর না ঘুরতেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আমাদের কাজে কোথাও কোনো খারাপ করা হচ্ছে না। তবে ওখানে একটি ইউড্রেন ছিল সেটা ভেঙ্গে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এলাকাবাসীরা আমার কাজের বিষয়ে মিথ্যা কথা প্রচার করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ওই রাস্তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে আমাদের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী ওই কাজ দেখাশুনা করছেন। আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। আগামিকাল অফিসে এসে বিষয়টি সরেজমিনে দেখবো। আর ঠিকাদার যিনিই হোক না কেনো কাজে অনিয়ম পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
0 মন্তব্যসমূহ