ফের "মোবাইল " প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেমেছেন দুর্গাপুর পৌরসভা মৎস্যজীবি লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসানুজ্জামান (সান্টু), পৌর নির্বাচনে তিন হ্যাবি ওয়েট পার্থী তোফাজ্জল, সোহেল, ও সান্টু চসে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন নৌকা মনোনীত প্রার্থী অন্য দিকে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নীয়ে প্রচারণা শুরু করে বিএনপি। পরবর্তীতে কোন্দল মিটিয়ে দলীয় ভাবে ভালো অবস্থানে রয়ছে বিএনপি। কিন্তু প্রচারণায় এগিয়ে নৌকা মনোনীত প্রার্থী এখন দেখার অপেক্ষা ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ের মুকুট কে অর্জন করে?
দুর্গাপুর নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর পৌরসভায় নয়টি ওয়ার্ডে চার মেয়র প্রার্থী ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। এই পৌর এলাকায় ২১ হাজার ১২৬ জন ভোটার রয়েছে। যাঁর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৪৪৫ জন ও মহিলা ১০ হাজার ৬৮১ জন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে ১১টি ভোটকেন্দ্রের মোট ৫৭টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সরজমিনে দুর্গাপুর পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সর্বত্র নির্বাচনী পোস্টার। অলিতে-গলিতে লিফলেট নিয়ে প্রার্থীর সমর্থকরা ঘরে ঘরে ভোট চাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের পোস্টার ও ব্যানার সব জায়গায় বেশি দেখা গেলেও বিএনপি প্রার্থীর চেম্বার ও বাজারে কিছু স্থানে রয়েছে পোস্টার। এছাড়া জাতীয় পার্টি ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পোস্টার পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে এরইমধ্যে ঘটে চলছে নানা ঘটনা। বিএনপি পার্থী গত ১৫ তারিখ সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যার-পর আমার পোস্টার ছেড়া ও প্রচার মাইকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেই সাথে সেইদিন রাত সাড়ে দশটায় বিএনপি নেতা দুলাল শেখের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয় এবং এতে তিনি গুরুতর আহত হন। অপরদিকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে দুর্গাপুরে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ৭ জন আহত হন।
কথা হয় পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রাব্বানী, মতিন, ফারুকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, আমাদের পৌরসভা অন্য পৌরসভার তুলনায় অনেক পিছিয়ে। সাপ্লাইয়ের পানি চাই ও ড্রেনেজ ব্যাবস্থা, রাস্তাঘাটের আরও উন্নয়ন চাই সুষ্ঠ নিবার্চন আশাকরি।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোক্তাদের হোসেন (মন্টু) জানায়, আমি চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হোক। গত কয়েকদিন ধরে প্রচারণা করছি। মানুষের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছি আশা করছি ভালো ফলাফল হবে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবো।
আওয়ামী লীগে প্রার্থী বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার সমর্থকেরা আচরণ বিধি মেনেই প্রচার প্রচারণা করছে। বিপক্ষ প্রার্থীরা বিভিন্ন মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সবকিছু এভাবে ঠিক থাকলে আগামীতে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে বিএনপি পার্থী জার্জিস হোসেন (সোহেল) বলেন, আমার প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করছে ও হামলা চালাচ্ছে। ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমি অসংখ্য করছি সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেনা।
জাতীয় পার্টির পার্থী মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি কিন্তু ভয় কাজ করছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। পিছিয়ে পড়া পৌরসভার-কে এগিয়ে নিতে ভুমিকা রাখতে পারবো।
বিদ্রোহী প্রার্থী হাসানুজ্জামান সান্টু বলেন, আমার প্রচার মাইক ভাংচুর পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে, সহিংসতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনের সার্বিক দিক তুলে ধরে দুর্গাপুর নির্বাচন অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সব কিছুই ঠিক রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এবার ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ