বিভিন্ন ধরনের টুপি, কলমদানি ও বাহারি ঝুড়ি, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকমের ছোট্ট ঝুড়ি। যা তৈরি হয়েছে তালের ডিগা থেকে উৎপাদিত আঁশ দিয়ে। তালগাছ ঝুড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ডিগার পেছনের অংশ মিলে গাছিদের।
সেই অংশটুকু পানিতে ভিজিয়ে একসময় পচে তৈরি হয় আঁশ। আঁশের তৈরী বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয় ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বাংলার বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও পড়তেন এই আঁশের তৈরী টুপি।
আসমত আলী জানায়, দিঘ্য ২৮ বছর এই পেশার সাথে জড়িত। একসময় নিজেই তালগাছে উঠে সংগ্রহ করতেন ডিগা, নিজ হাতে আঁশ দিয়ে তৈরি করতেন নানান পণ্য। নিজ জেলাতেই হয়ে যেতো সব বিক্রি। এখন আঁশ সংগ্রহ করে নিজেই তৈরি করেন হরেক রকমের পণ্য।
কিন্তু কুটির শিল্প হারিয়েছে ঐতিহ্য, হয়না বিক্রি তেমন। ৭২ ছুড়েছে বয়স তবু কাঁধে সংসারের হাল তাইতো ছুটে চলেছেন এক জেলা থেকে আরেক জেলায়। নেই থাকার কোনো নিদিষ্ট কোনো স্থান ফুটপাত তাঁর বিছানা ৫ টাকার কয়েল তাঁর মশারী। জীবন যেনো তাঁর সংগ্রাম তবুও কারো অনুগ্রহের পাত্র নয়। সময়ের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কুটির শিল্প।
কিন্তু প্রতিটি পণ্যের পেছনে থাকে একটি গল্প। অধিক মুনাফা লাভ করে লাখপতি হওয়ার জন্য নয়, নিজের সৃষ্টি দিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছোট্ট প্রয়াস তাদের। আধুনিকতার ছোঁয়ায় নিজের ঐতিহ্য ভুলে গেলে সে জাতি নিজেদের ভুলে যায়। সময় এসেছে বাংলার কুটিরশিল্প মৃৎশিল্প সংরক্ষণের নতুন বাজার সৃষ্টি করার বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরার।
0 মন্তব্যসমূহ