Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ‘স্বপ্নের পাকা ঘরে’ বসবাসে অনিহা গৃহহীনদের!

এইচ এম শাহনেওয়াজ: রাজশাহীর পুঠিয়ায় নানা অযুহাতে মুজিব বর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি ‘স্বপ্নের পাকা ঘরে’ বসবাসে অনেকেরই অনিহা। ঘর প্রাপ্তরা বলছেন সদর এলাকা থেকে যাতায়াতে অনেক দুরত্ব, বসবাসকারীদের পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত না হওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতা  রয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার পাঁকা ঘর ৫৪ টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত জমিতে এই ঘর গুলো নির্মাণ করেন উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা জুড়ে আরো ৮০টি পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে তালুকদার গ্রামে নতুন করে আরো ১৪টি ঘর ও একটি মসজিদ তৈরি হচ্ছে। 

সরেজমিনে উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় ‘তালুকদার গ্রাম’ ঘুরে দেখা গেছে ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত প্রায় সাড়ে তিন একর জমির উপর নির্মিত ২৪টি পাকা ঘরের মধ্যে মাত্র ৭টি স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন। আর তিনটি ঘরের মালিকরা দিনের কিছু সময়ের জন্য ‘তালুকদার গ্রামে’ অবস্থান করে পূর্বের বাড়িতে ফিরে যায়। বাকি ১৪ টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘরের মালিকানা দললি ও চাবি নিয়ে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি।

প্রতিটি পবিরারের জন্য ওই পাঁকা ঘরের মধ্যে দুটি রুম, একটি বার্থরুম ও রান্নার স্থান রয়েছে। সেই সাথে ওই পরিবার গুলোর জন্য আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের কাজ শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি ওই এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ ও আলোকবার্তির কাজ শুরু হয়েছে। আর তাদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা নতুন সড়কটি পাকা করণ কাজও শুরুর অপেক্ষায়।

‘তালুকদার গ্রামে’ স্ব-পরিবার নিয়ে বসবাসকারী শেফলী বেগম ও শাবানা বেগম বলেন, এখানে যারা ঘর পেয়েছেন তারা ভূমি ও গৃহহীন অসহায় পরিবার। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ দিনমুজুর ও ভ্যান চালক। আর এখান থেকে পুঠিয়া সদর প্রায় ৫ কিলোমিটার। প্রতিদিন তাদের কাজে যাতায়াতে দীর্ঘপথ যাওয়া-আসা করতে হয়। তার উপর এখানে যাতায়াতে কাঁচা পথ, অনেক ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সে কারণে হয়তো অনেকে স্ব-পরিবার নিয়ে আসতে দেরি করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ভূমি ও গৃহহীদের জন্য নির্মিত ‘তালুকদার গ্রামে’ এখনো যারা পরিবারসহ আসেননি, তারা অল্পদিনের মধ্যে চলে আসবেন। আর ওইখানে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অপরদিকে তাদের চলাচলের জন্য পাকা সড়ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ