পৌরসভা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন খাতে পরিচ্ছন্নকমীসহ মোট ২৮ জন অস্থায়ী কর্মচারী গত কয়েক বছর থেকে দৈনিক হাজিরায় কাজ করেন পৌরসভায়। তবে তহবিলে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ওই কর্মচারীদের নয় মাসের বেতন বকেয়া পড়ে।
অস্থায়ী কর্মচারী বাবু বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারী স্থায়ী কর্মচারী ও নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের বেতন না দিয়ে নিজেরা চার কর্মদিবসেই অগ্রিম ভাতা উত্তোলন করেন। এ সময় অস্থায়ী কর্মচারীরা তাদের বেতন দাবি করেন। এতে জনপ্রতিনিধি ও সহকারী প্রকৌশলী ক্ষিপ্ত হয়ে যান। সে সূত্রে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে অস্থায়ী কর্মচারিরা কাজে আসলে তাদের মধ্যে ১৪ জনকে বাদ দেয়ার ঘোষনা করা হয়। যার কারণে বাদ পড়া কর্মচারীরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবীতে অফিস ঘেরাও করেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা মেয়র স্যারের সাথে একাধিকবার বসতে চেয়েছি কিন্তু তিনি আমাদের কথার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আজ সকাল থেকে অনেকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেস্টা করেছি কিন্তু তিনি আমাদের কারো ফোন রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পৌরসভার একাধিক কর্মচারিরা বলেন, ছাটাইকৃত কর্মচারিরা সাবেক মেয়রের সময় কাজ শুরু করেন। আর বর্তমান মেয়রের কিছু ঘনিষ্ঠ লোকজন আছেন তাদের কাজে লাগাতে এদের ছাটাই করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অস্থায়ী কর্মচারি বা তাদের বকেয়া বেতন বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না। অফিস ঘেরাও করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা ওদেরকেই জিজ্ঞাসা করেন।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আল মামুন খান বলেন, আজ আমি পৌরসভা অফিসে যাইনি। আর বকেয়া বেতন দাবী ও কর্মী ছাটাইয়ের কারণে অবরোধ কর্মসূচীর বিষয়টি আমি জানিনা।
0 মন্তব্যসমূহ