Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

অবশেষে শুরু হচ্ছে পুঠিয়া-বাগমারা সড়কের কাজ

এইচ এম শাহনেওয়াজ: রাজশাহীর পুঠিয়া হতে বাগমারা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। সড়কটির সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ১৮ বছর থেকে এই সড়কে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এর মধ্যে সড়কে দু’বার সংস্কার কাজ করা হলেও বছর না যেতেই তা পূর্বের রুপে ফিরে আসে। অবশেষে এই জনদুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী সড়কটির পূণঃনির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হবে।

পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, জনবহুল এই সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে ছিল। পুঠিয়া দুর্গাপুর ও বাগমারা আসনের বতর্মান সাংসদদের প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের শুরুতে একনেকে ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সকল প্রক্রিয়া শেষে চলতি মাসেই এই কাজ পুরোদমে শুরু হবে। 

এ বিষয়ে বাগমারা আসনের সাংসদ ইঞ্জিঃ এনামূল হক এর ব্যাক্তিগত সহকারী জিল্লুর রহমান সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামি ২৭ তারিখে পুঠিয়া-বাগমারা সড়কের ভবানীগঞ্জ অংশের সড়ক নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদসহ অনেকই উপস্থিত থাকবেন।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাজশাহী-২ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ আসিফ বলেন, একনেকে অনুমোদিত ১৩০ কোটি টাকা নতুন বরাদ্দে রাস্তাটি ২৪ ফুট চওড়া করা হবে। এই সড়কের জিও ও টেন্ডার অনেক আগেই পাস হয়েছে। পুঠিয়া থেকে বাগমারা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কটি তিন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। যা তিনজন আলাদা ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করা হবে। আগামী ২৭ ফেব্রæয়ারী বাগমারায় প্রথম ধাপের কাজ শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, পুঠিয়া-বাগমারা ২৭ কিলোমিটার সড়কে দুর্গাপুর, পুঠিয়া, বাগমারা, নাটোরের নলডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। গত ১৯৮৫ সালে সর্বশেষ কার্পেটিং করা হয়। এর কয়েক বছর পর সড়কের বেশীর ভাগ স্থান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কটি ২০০৪ সালে পুঠিয়া হতে তাহেরপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হয়।

এরপর ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বন্যা পুনর্বাসন তহবিলের ৩০ লাখ টাকায় রাস্তাটির ১৩ কিলোমিটার এলাকা নামমাত্র কাজ করা হয়। এরপর গত পাঁচ বছর আগে ৫ কোটি ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে পুঠিয়া সদর থেকে তাহেরপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়। তবে উ”চতা অনেক কম হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সড়কটির কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি যাতায়াত করে। যার কারণে সড়কটি পুণঃসংস্কার করা হলেও বেশীদিন টেকসই হয়নি। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ