আজ এ ঘটনায় ২৪জন নামীয় ও ৬০/৭০ অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড নির্বাচনী কমিটির আহবায়ক আমজাদ আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগুন দেওয়ার সময় অফিসে কেউ না থাকায় শুধু আসবাবপত্র ও চান্দোয়া পুড়ে,পরো ক্ষনে পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। আগুন দেওয়ার ঘটনায় কোনো প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় পুরো ঘটনার স্পষ্ট ধারণা মিলছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনী মাঠ কে উত্তপ্ত করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌরসভার নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার শেষ দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দুর্গাপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালানোর পরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন
ধরিয়ে দিয়ে অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে এসে অনেক চেষ্টার পর আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় তৎক্ষনাৎ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করে
ভাঙচুর করা ও আগুনে পুড়ে যাওয়া প্লাস্টিকের চেয়ার, কাপড়ের পর্দা ও পেট্রোল বহনকারী প্লাস্টিকের বোতল আলামত হিসেবে থানায় নিয়ে আসে। পরক্ষণেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
এবিষয়ে পৌর ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান (সোহান) বলেন, ২৮ তারিখের নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী অপশক্তি ভোট যুদ্ধে তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে তারা রাতের আঁধারে এমন ন্যক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে আমি এমন ন্যক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি সেই সাথে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনের ১১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ চার স্তরের নিরাপত্তার সঙ্গে থাকছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার। যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধের আওতায় আসবে দুর্গাপুর পৌরসভা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো পৌর এলাকা। এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১ মার্চ রাত ১২ টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি হাশমত আলী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী বাদী হয়ে রাতেই দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌরসভার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশেও ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ২৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ০৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন, বিএনপি মনোনীত জারজিস হোসেন সোহেল, জাপা’র হুমায়ন কবির ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী হাসানুজ্জামান সান্টু।
জানা গেছে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪৪৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৬৮১ জন। এই পৌরসভায় মোট ১১টি ভোটকেন্দ্রের ৫৭টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ