রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ তাঁর পুরো নাম। সে দুর্গাপুর পৌর সদর এলাকার দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়িও পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে। রিয়াজের বাবা সাবুল হোসেন। তিনি একজন দিনমজুর।
শিশু রিয়াজ জানালেন, এসব পরিত্যক্ত ভোটের পোস্টার দিয়ে মায়ের কাছে থেকে পড়ালেখার খাতা বানিয়ে নিবেন। এজন্য এই (ভোট) দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে ছিলেন। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোট শেষ হওয়া মাত্রই তিনি বাড়ি থেকে বাঁশের লগির মাথায় হাঁসুয়া বেধে নেমে পড়েন রাস্তায়। খোঁজে খোঁজে বাঁশের লগি দিয়ে গাছের ডালে বেঁধে রাখা প্রার্থীদের সাঁটানো পোস্টার নামিয়ে জড়ো করছিলেন। এসব পোস্টার দিয়ে তাঁর মায়ের কাছে থেকে লেখাপড়ার খাতা বানিয়ে নিবেন। আর এসব খাতায় ক্লাশের পড়াশোনার লেখালেখি ও ছবি আঁকবেন তিনি।
রিয়াজ বলেন, প্রাণঘাতি করোনার কবলে একবছর ধরে তার স্কুল বন্ধ। এ কারণে তৃতীয় শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়ে এখনও চতুর্থ শ্রেণিতে উঠা হয়নি। তাই ছুটিকালীন সময়ে বাড়িতে মায়ের কাছে লেখাপড়া করে সে। বাড়িতেই তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতেও ভালবাসে। এসব পরিত্যক্ত ভোটের পোস্টার খাতা বানিয়ে ছবি আঁকবেন ও লেখালেখি করবেন।
এদিকে, দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনের সময়টাতে পৌর এলাকাজুড়ে টাঙানো হয়েছিল হাজার হাজার পোস্টার। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলরসহ প্রার্থী ছিলেন ৩৭জন। এসব প্রার্থীদের হাজার হাজার পোস্টারে ছেঁয়ে ছিল পুরো দুর্গাপুর পৌর এলাকা। নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্র সেসব পোস্টার নামানোর হিড়িক পড়ে সবখানে। এতে শিশুদের সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে এসব পোস্টার সংগ্রহ করতে।
0 মন্তব্যসমূহ