প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে ঠিকাদার বলছেন শিক্ষক কর্মচারীদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
জানা গেছে শিক্ষা অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের অধিনে দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চারতলা নতুন ভবন নির্মান কাজ গত বছর শুরু হয়। এই কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। বর্তমানে কাজের প্রায় ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আর নির্মাণ কাজটি করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজুল ট্রেডার্স।
দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের শুরু থেকে কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেন। বিষয়টি ভবন নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবহিত আছেন। এরপর থেকে ঠিকাদার আর কাজের স্থানে আসেন না। তার প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন লোকজন এসে দেখভাল করেন। নির্মাণ শ্রমিকরা কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে থাকেন।
এই বিষয় গুলো ফ্যাসিলিটিজের একজন সহকারী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হলেও কোনো সুফল হয় না। বরং প্রকৌশলী উল্টা ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই করেন। সর্বশেষ গত ১০ মার্চ সকালে ঢালাই কাজে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ঠিকাদারের লোকজন বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবদুস সালামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজুল ট্রেডার্সের কর্ণধার নুরুল হুদা বলেন, শিক্ষকদের নিয়মিত চাঁদা দিলে তারা কোনো সমস্যা করে না। টাকা না দেয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি আমার নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করেছেন তারা।
শিক্ষা অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী সুমন রানা বলেন, স্কুলের ভবন নির্মাণ সঠিক নিয়মেই হচ্ছে। শিক্ষক কর্মচারীরা না বুঝে নানা অভিযোগ তুলছেন।
এ বিষয়ে ভবন নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, স্কুলের মারামারি ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ