মুন্সি শাখাওয়াত উল্লাহ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কানাইপাড়া-মরাবিলে স্থানীয় আলেক সরদারের কয়েক বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেয়ারা রোপন করেছেন ওই এলাকার মইদুল ইসলাম নামের একজন পেয়ারা চাষি। তিনি ওই জমিতে সেচ দিতে গত দু’দিন আগে একটি তিন ইঞ্চি পাইপের বোরিং করেছেন। ওইদিন স্যালো মেশিনে কিছুক্ষণ সামান্য পানি উঠলেও তারপর বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর এই পাইপের ভেতরে থেকে বুদবুদ শব্দ ও ঝাঝালো গন্ধ বের হতে থাকে। পরে পাইপের মুখে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালালে সেখানে আগুন ধরে যায়। এরপর ওই জমির মালিক পাইপের মুখে কিছু মাটি দিয়ে তা বন্ধ করে রেখেছেন।
গত তিনদিন আগে গন্ডগোহালী গ্রামে মফিজুল ইসলামের একটি নার্সারির পুরোনো বোরিং থেকে পানির পরিবর্তে গ্যাস বের হচ্ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই বোরিং পাইপের মুখ মাটি চাপা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া গত বছর ২৪ এপ্রিল উপজেলার ধোপাপাড়া এলাকার পদ্মা ইটভাটার একটি স্যালো মেশিনের পাইপ দিয়েও গ্যাস বের হচ্ছিল। সে সময় কিছু উৎসক লোকজন ওই পাইপের মুখে আগুন লাগিয়ে দেয়। এমন খবরে মুহর্তের মধ্যে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন জ্বলতে থাকা পাইপটি মাটি চাপা দিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচচু বলেন, গত এক বছরের মধ্যে পাশাপাশি তিনটি স্থানের বোরিং থেকে গ্যাস বের হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তবে উপরোক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, কানাইপাড়া-মরা বিলে পাইপে গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমাদের এই এলাকায় খনিজ গ্যাস না থাকার সম্ভবনাই বেশী। ধারনা করা হচ্ছে ওই বোরিং পাইপের নিচে মিথেন কম্বিনেশনের কারণে সাময়িক গ্যাস বের হতে পারে। তবে তিনি বিষয় গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ