স্কুল সূত্রে জানা গেছে, শামীম আরা খাতুন রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তদবিরের মাধ্যমে জাল সনদে ২০১১ সালে শূন্যপদে স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা (শরীরচর্চা বিভাগে) হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের এক বছরের মধ্যে তিনি এমপিওভূক্ত হন। আর এরপর থেকে তিনি জাল সনদে চাকুরি করছেন এমন অভিযোগ উঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের পরিচালনা কমিটি গত দু’বছর আগে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর ওই শিক্ষিকার সনদপত্র যাচাই করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। যাচাই শেষে গত ২১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকার সনদপত্র জাল উল্লেখ করে একটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদন আসার পর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্কুল প্রধানকে নির্দেশ দেন।
তবে সহকারী শিক্ষিকা শামীম আরা খাতুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
শিবপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরাবিয়া সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষিকা যোগদানের পর থেকে তার শিক্ষাসনদ জাল বলে অভিযোগ ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমাদের উর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। কর্তৃপক্ষ তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তার সনদটি জাল বলে নিশ্চিত করেছেন এই মর্মে একটি পত্র আমরা পেয়েছি। এই বিষয়টি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, জাল সনদে যে শিক্ষিকা চাকুরি করছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ