Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

পুঠিয়ায় মাদক ব্যবসা করছে পুলিশ-র‌্যাবের সোর্স!

স্টাফ রিপোর্টার: পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রমরমা মাদকের ব্যবসা চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা মাসোহারা নেওয়ার কারণে মাদক কেনাবেচা বন্ধ হচ্ছে না।

জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। এর মধ্যে বানেশ্বর ও বেলপুকুরেই রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ওই দুই ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীরা চার গ্রুপে বিভক্ত। তবে সব ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা হয় বানেশ্বর বাজার এলাকা থেকে।

এ ছাড়া উপজেলার সেনভাগ, ঝলমলিয়া, কৃষ্ণপুর, দুদুর মোড়, গুচ্ছগ্রাম, ধোপাপাড়া, বাসুপাড়া, ভালুকগাছি, শিবপুরহাট, বিড়ালদহ বাজার ও বানেশ্বর এলাকার খুটিপাড়া, নামাজগ্রাম, ক্ষুদ্র জামিরা, বেলপুকুর, ভরুয়াপাড়া, মাহেন্দ্রা এলাকা থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মরণনেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, চোলাইমদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য যানবাহনে দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ হচ্ছে। পৌরসভার বারইপাড়া এলাকায় পাঁচজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর কাছে প্রতিদিন শতশত মাদক সেবনকারী ভিড় জমাচ্ছে। এদের ভেতর একজন পুঠিয়া থানার সোর্স। মেডিকেলপাড়া একজন র‌্যাবের সোর্স হিসাবে কাজ করছে আর দিনরাত সে এবং তার স্ত্রী ইয়াবা গাঁজা, হেরোইন ফেনসিডিল ব্যবসা করছে। পৌরসভার ফায়ার সার্ভিসের কলিতলায় একজনকে হরেকরকম মাদক বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। তার কাছে আসা বেশিরভাগ মাদকসেবী যুবক শ্রেণির।

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে হওয়ার কারণে অনেক সময়ে গাড়ির ড্রাইভারদের মাদক কিনতে দেখা গেছে। পুঠিয়া সদর এলাকাটিতে সবরকম মাদক পাইকারি বিক্রি করছে দুজন। একজনের বাড়ি কাজীপাড়ায়, অপরজনের বাড়ি স্টেডিয়ামপাড়ায় বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। দুজন প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য মাদক কর্মকর্তাদের সামনে কেনাবেচা করছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাসোহারা নেওয়ার কারণে কেনাবেচা বন্ধ হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কোনো নতুন কর্মকর্তা আসার পর প্রথম প্রথম কিছুদিন হাতেগোনা দু-চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে তাদের সঙ্গে নতুন করে মাসোহারা চুক্তি করার পর অভিযান ঢিলেঢালাভাবে চলতে থাকে।

দেখা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্য পরিচয় দিয়ে ওয়াকিটকি হাতে রাতে বা দিনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হুট করে ৭/৮ জন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করছে না।

একাধিক মাদক ব্যবসায়ী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাসোহারা ছাড়া মাদক ব্যবসা একদিনের জন্য করা সম্ভব না।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পুঠিয়া সার্কেলের মো. লুৎফর রহমানকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে জানালে তিনি বলেন, আপনে সঠিকভাবে খোঁজ নিয়ে বলেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ