জানা গেছে, ৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাজের গুনগত মান ভালো হওয়ায় জনগনের মাঝে উচ্ছ্বাস, আনন্দ লক্ষ করা গেছে। রাস্তাটি দৈর্ঘ্য, প্রশস্ততা ঠিক রেখে খানাখন্দ মেরামত ও কার্পেটিং খুবই সুন্দর ভাবে করা হয়েছে।
আমগাছী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, আমগাছী বাজারে এখান থেকে রাজশাহী শহরের দূরত্ব বেশি নয় কিন্তু ছোট-বড় খানাখন্দ ও রাস্তার বেহাল দশার কারণে উল্টো দুর্গাপুর হয়ে ঘুরে যেতে হতো আমাদের। দেখে ভালো লাগছে আবশেষে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ভাঙ্গা রাস্তার দীর্ঘয়াদী ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে উপজেলাবাসী। আর যাইহোক অন্তত দুই-তিন বছর শান্তিতে থাকা যাবে।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক রবিউল ইসলাম জানান, আমি দুর্গাপুর থেকে আমগাছী নিয়মিত ভাড়া মারি। ওই রাস্তাটার অবস্থা এমন ছিল রাজশাহী যাওয়ার জন্য হাজার সাদা সাদি করলেও যাইতাম না। রাস্তাটির মেরামত ও কার্পেটিং খুবই ভালো হলো শুনেছি। এই রাস্তাটা বহু দিন টিকবে বলে আশা করছি।
রাস্তাটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন দুর্গাপুরের উপজেলার প্রকৌশলী খলিলুর রহমান খলিল। তিনি জানান, উপজেলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি সড়কের মধ্যে একটি এই সড়ক। বহু মানুষের যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। দুইটি ভাগে দুই ঠিকাদারের মাধ্যমে পাঁচ কিলোমিটারের রাস্তাটি মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। রাস্তাটির নিয়মিতই তদারকি করতাম সর্বশেষ রাস্তাটির সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এরপর থেকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন সড়ক ও তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন সড়ক প্রস্ততকরন সহ কাজের গুনগত মান বৃদ্ধি ও সড়ক টেক-সইয়ের জন্য পেভার মেশিনের মাধ্যমে কাজ করা হবে বলেও জানান উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান খলিল।
0 মন্তব্যসমূহ