বিগত বছর গুলোর তুলনায় চলতি বছর ভুট্টার চাষ বেড়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবার বাম্পার ফলন আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ ৬ টি ইউপি এলাকায় চলতি বছর (রবি ও খরিপ মৌসুমে) প্রায় ২ হাজার ২ শ ২৫ হেক্টোর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রবি মৌসুমে ১ হাজার ১ শ হেক্টর এবং খরিপ মৌসুমে রোপণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১ শ ২৫ হেক্টর জমি। যা গত বছরের তুলনায় সাড়ে ৮ শ হেক্টর জমি বেশী। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৪ মে.টন।
উপজেলার কানাইপাড়া এলাকার ভুট্টাচাষী শরিফুল ইসলাম বলেন, এ বছর আমাদের প্রায় দু’একর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। আমরা প্রতিবছর জমি থেকে আলু তোলার পর ভুট্টা রোপণ করি। এতে আমাদের অতিরিক্ত কোনো টাকা ব্যায় হয় না। শুধুমাত্র দু-তিনবার পানির সেচ দিলেই চলে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবিঘা আলুর জমিতে মাত্র ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বাজার ভালো থাকলে ১৮-২০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করা যায়। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় বিগত বছরের চেয়ে বেশী ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
ধোপাপাড়া এলাকার চাষি জায়েদুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা বিগত দিনে এই সময় জমিতে তিল, মুগ জাতীয় ফসল বুনতো। যা বর্তমানে উৎপাদন খরচের অর্ধেক টাকাও আসে না। যার কারণে অনেক চাষিরা এখন ভূট্টা রোপনে আগ্রহী হচ্ছেন। ভূট্টায় তুলনামূলক রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমন কিছুটা কম। আর অল্প খরচে ভুট্টা চাষ করে অধিক লাভ পাওয়া যায়। আবার অনেকই একই জমিতে বছরে দু’বার ভুট্টা চাষ করতে পারেন। এর ফলে গত কয়েক বছর যাবত এ সকল এলাকার সাধারণ কৃষকরা ভুট্টা চাষে বেশী আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূইয়া বলেন, ভুট্টা চাষ কৃষকদের জন্য একটি অতি লাভজনক ফসল। জমির প্রকার ভেদে কৃষক অল্প খরচেই অধিক পরিমানে ভুট্টার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। এ বছর ভুট্টা চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ