Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

লকডাউনে স’ মিল বন্ধ, দু’বেলা খাবারও জুটছে না দিনমজুর খলিলের

মিজান মাহী: নেই ওষুধ কেনার টাকা। দু'বেলা খাবারও জোটছে না তার। লকডাউনে স’ মিল বন্ধ। কর্মহীন ৩ সদস্যের পরিবারে অভাব এখন প্রকট। রোজগার না হওয়ায় চাল ডাল না থাকায় কোন দিন না খেয়েও থাকতে হচ্ছে তাদের।

এভাবেই নিজের বর্তমান অবস্থার কথা বর্ণনা করছিলেন দুর্গাপুর পৌর এলাকার দিনমজুর খলিলুর রহমান। শুক্রবার দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর বিএম কলেজ মাঠে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন খলিলুর। এ সময় তার সঙ্গে কথা হয়। মাঠের পাশেই তার বাড়ি।

খলিল বলেন, দফায় দফায় অবরোধ (লকডাউন) চলছে। স’মিল বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামেও কাজ নেই। দোকানদাররা এ সময় বাকিতে কিছুই দেয় না। ঘরে মজুদ চাল ডালও শেষ হয়ে গেছে। কোন কামাই রোজগার নাই। বউ বাচ্চা নিয়া খুব কষ্টে আছি। খলিলের পরিবারে ৩ সদস্য। সবচেয়ে ছোট ৯ বছরের মেয়ে। আর দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ৩ শতক জমিতে ঘর বানিয়ে বসবাস করেন তিনি। আবাদী জমি নেই এক শতকও।

খলিল জানান, বুদ্ধি বয়স থেকে মানুষের বাড়ি চাকরগিরি করছি। খেটে খেটে এখন অসুস্থ শরীর আর চলে না। কোমরে ব্যথা, টাকার অভাবে ভাল চিকিৎসা করাতে পারি না। প্রতিদিন ওষুধ খেয়ে কাজে যেতে হয়। সরকারি কোন অনুদান, ভিজিডি, ভিজিএফ, কিংবা বয়স্ক ভাতা সুবিধা পাননি তিনি।

লকডাউনের কারণে গত কয়েক দিন রোজগার নেই বললেই চলে। চালের টাকা রোজগার করতে না পারলে কোন দিন পরিবার নিয়ে অনাহার থাকতে হয়। তিনি আরও জানান, নিজেরা কোনরকম এক বেলা না খেয়ে থাকলেও বাচ্চারা আর শোনে না। নানা জিনিসের বায়না ধরে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধা বলেন, বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষেরা খুব কষ্টে আছে। সরকারি সহযোগিতা আসলে অসহায় মানুষদের দেওয়া হবে।


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ