তবে তাঁর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখহাসিনার উপহার হিসেবে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকাবাড়ি স্বপ্ননীড় ইউএনওর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মানসম্মত নান্দনিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে পাকাবাড়ি। সিমা বিবির মতো পাকা বাড়ি পেয়েছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৬টি ভূমিহীন পরিবার। আবেগ আপ্লূত হয়ে সিমা বিবি বলেন শেখের বিটি হাসিনাকে ধন্যবাদ। স্বামী না থাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে বড় কষ্ট দিন কাটছিল। একটি খুপরি তিনজনের থাকা লাগতো। পাকা বাড়ি পাবো কোনোদিন ভাবতেও পারিনি।
তিনি বলেন, থাকার ঘর, রান্না ঘর টয়লেট সহ পানির সুবিধাও রয়েছে। অত্যন্ত যন্ত সহকারে পাকাবাড়ি-টি নির্মাণ করেছেন। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য ইউএনও মহসীন মৃধা। বাড়ি নির্মাণের সময় ইউএন স্যার সার্বিক তদারকি করেছেন। আমাদের মানসম্মত বাড়ি উপহার দিয়েছেন।
জানা গেছে, মুজিব-বর্ষে উপহার হিসেবে রাজশাহীর দুর্গাপুরে দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সরকারি পাকা বাড়ি ‘স্বপ্ননীড়’ পেয়েছেন ৪৬টি গৃহহীন পরিবার। প্রথম দফায় ৩২টি পরিবারের মাঝে হস্তান্তরের পর গত ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আর ১৪টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ন কবীর নবনির্মিত সরকারি পাকা বাড়ি পরিদর্শণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় দুই শতক জায়গার ওপর প্রতি পরিবারের দু চৌচালা বিশিষ্ট রঙ্গিন ঢেউ টিনের ঘর। তাতে দুটি করে জানালা ও দরজা, ইটের দেয়াল এবং পাকা মেঝে রয়েছে। যা মান সম্মত ইট, খোয়া ও সিমেন্টে দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বারান্দা এবং আলাদা স্থানে রান্না ঘর ও টয়লেট সেই সাথে বিদ্যুত সংযোগ সুব্যবস্থা রয়েছে। বাড়ির থেকে বের হবার সুবিধার্থে বিভিন্ন জায়গা রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভূমিহীন পরিবার গুলো পাকা বাড়ি ‘স্বপ্ননীড়’ পেয়ে সুখেই বসাবস করছেন। পাকা বাড়ির কালার ও রঙিন ঢেউটিন দুর থেকে আকৃষ্ট করছে।
পালি বাজার দক্ষিণ পাড়া গ্রামের রুবেল হোসেন বলেন, আগে খুপরি ঘরে থাকতাম। এখন পাকাবাড়ি পেয়েছি। ঘরগুলোও মানসম্মত। কয়েকমাস ধরে বসাবস করছি, কোন অসুবিধা হয়নি। রান্না ঘর ও টয়লেট সেই সাথে বিদ্যুত সংযোগও পেয়েছি। এ যেন স্বপ্নের মত।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে গৃহ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উক্ত প্রকল্পের অধীনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহসীন মৃধার তত্তাবধানে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৪৬পরিবারের মাঝে পাকা বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁরা ওই পাকা-বাড়িতে এখন বসাবস করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহসীন মৃধা বলেন, দুই দফায় ৪৬টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে পাকাবাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই শতক জায়গার উপর প্রতি পরিবারের দু চৌচালা বিশিষ্ট রঙ্গিন ঢেউ টিনের ঘর মানসম্মত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাতে দুটি করে জানালা ও দরজা, ইটের দেয়াল এবং পাকা মেঝে রয়েছে। এছাড়া বারান্দা এবং আলাদা স্থানে রান্না ঘর ও টয়লেট সেইসাথে বিদ্যুত সংযোগ সুব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় পরিবারের জন্য ‘স্বপ্ননীড়’ উপহার পাচ্ছেন। যা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
0 মন্তব্যসমূহ