দুর্গাপুর উপজেলা শ্রীপুর গ্রামের আতি যত্নের সাথে রাজাকে লালনপালন করছে খামারী আশরাফুল ইসলাম। তবু শঙ্কায় কাটছে প্রতিটি মূহুর্ত, করোনার প্রকোপের মাঝে নায্য মূল্য কি মিলবে?
রাজাকে শ্রীপুর গ্রাম থেকেই একলক্ষ ষাট হাজার টাকায় কিনেছিলেন। পরম যত্নের সাথে ১ বছর লাগল পালন করে বর্তমানে ৪০ মনে ঠেকেছে। আশরাফুলের ওঁকে পালন করতে অন্তত ৭ লক্ষ্য টাকা ইতিমধ্যে খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে তার দাম উঠেছে ৮ লক্ষ্য টাকা।
আশরাফুল ইসলাম জানায়, ষাঁড়টি অত্যন্ত ভালো মানের খাবার খায়, চাষ করা ঘাসের সাথে সাথে প্রতিমাসে সাড়ে তিন মন ভুসি, সাড়ে তিন-মন সুজি তিন-মন খুদের ভাত সহ বিভিন্ন ফলমূল বিশেষ করে মাল্টা তার খুবই প্রিয় খাদ্য। গরুর জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরিতে গোয়ালের পাশেই মটর ও ঘরে ফ্যান লাগানো রয়েছে বিদুৎ চলে গেলে চার্জার ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা আছে।
গরুটির রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পাশের খুপরি ঘরেই স্বামী রাত্রিযাপন করি। রাজার ১৫ লক্ষ্য টাকা দামের আশা করেছি।
আশরাফুল স্ত্রী সাবিনা খাতুন জানান, গরুটিকে পরম যত্নের সাথে সন্তানের নেয় লালন পালন করেছী। এবারে রাজাকে বিক্রি করা হবে অনেক খারাপ লাগছে। নায্য মূল্য আদৌও পাবো কিনা জানিনা অনেক সপ্ন নিয়ে একে পালন করেছি। কোরবানির জন্য ওকে নায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ভালো লাগবে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডাঃ মোঃ আবু আসাছ জানান, ক্রসব্রিডের মাধ্যমে এমন উন্নত জাতের ষাঁড় উৎপাদন করা যায়। তাদের গরুটিকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টিকে লালনপালন করা হয়েছে। আশাকরি তারা ভালো দাম পাবেন।
0 মন্তব্যসমূহ