Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

কঠোর লকডাউনে ব্যতিক্রমী চিত্র পুঠিয়ার হাট-বাজারে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ!

স্টাফ রিপোর্টার, পুঠিয়া: মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে এখন চলছে কঠোর লকডাউন। কিন্তু এর ব্যতিক্রম চলছে পুঠিয়ার বৃহৎ হাট বানেশ্বর ও ঝলমলিয়া বাজারসহ গ্রাম্য হাটগুলোতে। হাটবারের দিন ভোর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঢল নামে এখানে। তবে হাট কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলা পরিষদের তথ্যমতে পুঠিয়ায় সবচেয়ে জনবহুল হাট-বাজার রয়েছে ৪টি। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ বানেশ্বর হাট। এরপর অবস্থান করছে ঝলমলিয়া ও মোল্লাপাড়া হাট। প্রতিটি হাট বসে সপ্তাহে দু’দিন করে। স্বাভাবিক হাটগুলোতে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কেনা-বেচা। তবে সম্প্রতি দেশে করোনার প্রভাব দেখা দেয়ায় জনসাধারণকে ঘরের মধ্যে অস্থান করতে নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসন।

আলম হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, হাটে লোকসমাগম কমাতে ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে ইজারাদারগণ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং পুলিশ-প্রশাসনের হয়রানি এড়াতে ইজারদারের লোকজন মৌখিকভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোররাতে আসতে আহবান করছেন।

অপরদিকে পুলিশ-প্রশাসন ওই হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম বন্ধ করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। বানেশ্বর হাট ইজারাদার ওসমান আলী বলেন, হাটবারে স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বল্প পরিসরে আসছেন। তাছাড়া হাট কমিটির লোকজন সব সময় আগতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচার চালাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, হাট-বাজার ও লোকসমাগম এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে। সেই সাথে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও সেনা সদস্যরা সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছেন। তবে হাটগুলোতে স্বল্প পরিসরে কাঁচা শাক-সবজি বিক্রি করতে পারবেন। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, এখন করোনা মহামারির কারণে সারা দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। তবে কিছু লোকজন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে হাট-বাজার ও বাহিরে ঘুরাফেরা করছেন। তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সার্বক্ষনিক পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। কিছু মানুষ এখনো অবহেলা ও গাফিলতি করছেন। তারা পুলিশ-প্রশাসনকে আসতে দেখে লুকিয়ে যাচ্ছেন। আবার পুলিশ-প্রশাসন চলে গেলে পূর্বের ন্যায় ঘুরাফিরা করছেন। এতে করে আমাদের মাঝে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ