Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

পুঠিয়ার পাড়া-মহল্লায় মাদকের সাম্রাজ্য!

স্টাফ রিপোর্টার, পুঠিয়া: পুঠিয়ার উপজেলাজুড়ে পাড়া-মহল্লায় এখন মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। থানা পুলিশের তালিকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার এড়াতে বেশির ভাগ এখন আত্মগোপনে। তবে প্রকাশ্যে যুক্ত না থাকলেও তাদের নগদ অর্থের প্রলোভনে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে স্থানীয় যুব সমাজ। সম্প্রতি র‌্যাব সদস্যদের হাতে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ একাধিক তরুণ আটক হয়েছে। আর এতেই নড়েচড়ে উঠেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

উপজেলার পুঠিয়া ও বেলপুকুর থানার তথ্যমতে, গত বছরের শেষের দিকে এলাকা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একটি হিটলিস্ট তৈরি করা হয়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। এদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন আটক করতে পারলেও বেশীর ভাগ মাদক ব্যবসায়িরা গ্রেপ্তার এড়াতে বর্তমানে আত্মগোপনে আছে।

র‌্যাব-৫ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে পুঠিয়ায় ছয়টি অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে গত ২৩ জুন বেলপুকুর বড়ধাদাস গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে হাসেম আলী ৩৮০ পিস ইয়াবাসহ আটক হয়। ২৮ জুন কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে নাজমুল চারঘাট উপজেলা এলাকায় আটক হয় ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ। গত ২ জুলাই একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মমিনুল আটক হয় ৩০ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে। ১০ জুলাই ঝলমলিয়া গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে বাবলু আটক হয় ৬০০ গ্রাম হেরোইনসহ। ১২ জুলাই পুঠিয়া সদর এলাকায় একটি থাকা ট্রাকে ৪০ কেজি গাঁজা ও বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই ভালুকগাছি এলাকায় দবির আলীর ছেলে সাইফুল আটক হয় দুই কেজি গাঁজাসহ।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, গত একমাসে র‌্যাব সদস্যদের হাতে মাদকসহ আটককৃতরা মাদকের সাম্রাজ্য নতুন মুখ। থানা পুলিশ লিস্টধারীদের আটক শুরু করার খবরে সকলেই আত্মগোপনে থাকে। তবে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। তারা এলাকার বেকার যুবকদের মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত করছে। তিনি বলেন, প্রতিটি পাড়া মহল্লায় প্রকাশ্যে একাধিক মাদকের আড্ডা চলে। বর্তমানে মাদকের সাথে যুবসমাজের সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরাও জড়িয়ে পড়ছেন। এছাড়া বহিরাগত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা এ উপজেলায় আস্তানা গড়ে তুলেছে। তারা পরিবারসহ ভাড়া বাসা থেকে মাদকের কারবার চালাচ্ছে।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, মাদকের সাথে কোনো আপস নয়। আমি এখানে আসার আগে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের আটকে অভিযান অব্যহত আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, এক সময় এমনও পাড়া মহল্লা ছিল যেখানে মাদকের কোনো ছোঁয়া পর্যন্ত ছিল না। এখন মাদকসেবী প্রায় ঘরে ঘরে। তিনি বলেন, বখাটেরা কখনো কারও বন্ধু হয় না। প্রতিটি পরিবার উচিত তাদের সন্তানদের সব সময় নজরে রাখা। আগামী প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রেখে সুন্দর পৃথিবী গড়ে দিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বছরের বেশীরভাগ সময় উপজেলা পরিষদের পক্ষে এবং আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার সকল ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। বাহিরে আড্ডা দিতে না পাঠিয়ে সন্তানদের খেলার মাঠে নিয়ে আসুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ