প্রাণভয়ে অনেকই নতুন এই ঘর গুলোতে বসবাসের জন্য এখনই আসতে চাচ্ছেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে ঘর গুলোতে ফাটল শুরু হয়েছে। পুরো বর্ষা শুরু হলে নির্মিত ঘর গুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। উপজেলার মধুখালি এলাকায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ১৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন ১৩টি পরিবারের মধ্যে নির্মিত ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে নির্মিত ঘরের কাজ এখনো শেষ হয়নি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায় এর মধ্যে কয়েকটি ঘরের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অধিনে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জমিতে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ৬টি ইউনিয়ন এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ১১০টি ঘর নির্মাণ কাজ হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতিটি পবিরারের জন্য দুটি রুম বিশিষ্ট পাঁকা ঘরের মধ্যে আরো রয়েছে একটি বাথরুম ও রান্নার স্থান। সেই সাথে ওই পরিবার গুলোর আধুনিক সুবিধার জন্য থাকছে আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি সরবরাহের পাশাপাশি ওই এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে আলোকবাতি। আর তাদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন সড়ক।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় ঘর নির্মাণ কাজেও কোনো গাফলতি বা অনিয়ম করা হয়নি। আমার আব্বা মারা যাওয়ায় কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম। ঘর গুলোতে কিভাবে ফাটল ধরেছে তা আমি সরেজমিনে না দেখে বলতে পারবো না। তবে সকল ঘরে সঠিক গুণগত মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বর্ষা শুরু হওয়ায় নির্মিত এলাকায় মাটি ভরাট কাজ এখনো শেষ করা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে মধুখালি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমাদেরকে ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হলেও এখানে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি হয়নি। তার মধ্যে মাটি ভরাট ও পায়খানা নির্মাণ কাজও শেষ করেনি। তার মধ্যে আমরা বসবাস শুরু করার আগেই বেশীর ভাগ ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মনে হয় বর্ষার পানি বেড়ে গেলে ঘর গুলো ভেঙ্গে পড়তে পারে। এখানে অনেকেই প্রাণ ভয়ে এখন বসবাসের জন্য এই ঘরে আসতে চাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, ঘর গুলো তৈরিতে উন্নতমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে নির্মিত ঘরের সাথে পায়খানার স্লাভ বসানোর গর্তের কারণে দেয়ালের কিছু অংশ ফাটল দেখা দিয়েছিল। পরবর্তিতে ওই স্থান গুলো সংস্কার করা হয়েছে। তবে বাড়িগুলো ঝুকিপূর্ণ নেই। উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রতিটি ঘর তদারকি করানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ