Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে হাঁটুপানি!

স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর : মাথা গোঁজার ঠাই ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্নের বাড়ি উপহার দিয়েছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে বর্ষা মৌসুমে এখন এই বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির চারিদিকে হাঁটুপানি। কাজ করে দিনশেষে ঘরে ফিরতে ভোগান্তির শেষ নেই। রাতের অন্ধকারে সাপ-পোকা মাকড়ের উৎপাত দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হলেও ঘর পেয়ে আনন্দিত।

তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তা তৈরি করে দিলে আমরা অনেক উপকৃত হবো বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পালি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রাপ্তরা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এই উপজেলায় প্রথম দফায় ৩২ টি এবং দ্বিতীয় দফায় আরো ১৪টিসহ মোট ৪৬টি পরিবারকে মাথার গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুর্গাপুরে নিচু জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পালি দক্ষিণপাড়া গ্রামের সাতটি ঘরের চারিপাশে এখন হাঁটুপানি। ফলে উপহারে পাওয়া ঘরের মালিকরা জলাবদ্ধতায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন।

ঘরের চারপাশে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তা নেই এবং ঘরের সামনের পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রাপ্তরা।

রুবেল, রোজিনা, আলেকজানসহ অনেকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে ঘরের জায়গাটা নিচু হওয়ায় বর্ষার কারণে চারিদিকে পানি বেধে আছে। ঘরের চারিদিকে জলাবদ্ধতার কারণে পোকা-মাকড় বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের বেলায় ঘরে বসে থাকলেও নিশ্চিতে থাকা সম্ভব নয়। কখন যেন ঘরের ভিতরে বিভিন্ন পোকা-মাকড় উঠে আসে।

দুর্গাপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) বেলাল হোসাইন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দুর্গাপুরে ৪৬টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো যাতে জলাবদ্ধতা ক্ষতি না হয় সেজন্য আমাদের নজরদারি রয়েছে।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহসিন মৃধা বলেন, দুর্গাপুরের ওই গ্রামটি এমনিতেই নিচু। তারপরে আবার বর্ষা মৌসুম।

বর্ষা এলে ওই গ্রামে সকলের বাড়ির চারিদিকে পানি জমে। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িগুলোর মেঝে অনেক উঁচু করা হয়েছে, সেখানে পানি ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের নতুন বাজেটে ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। যাতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ