Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

পুঠিয়ায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে চলছে ডিস ও ওয়াইফাই কন্টোলার

এইচ এম শাহনেওয়াজ: রাজশাহীর পুঠিয়ায় ডিস ও ওয়াইফাই ব্যবসায়ীরা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে চালাচ্ছেন প্রায় আড়াই হাজার কন্টোলার। ব্যবসায়ীরা অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে বিশেষ চুক্তিতে প্রতিমাসে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার মূল্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। অথচ বৈধ ভাবে অফিসে কোনো বিল দিচ্ছেন না।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, ডিস-ওয়াইফাই ব্যবসায়ী ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের গোপন চুক্তিতে উভয় লাভবান হচ্ছেন। অথচ এর মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।

পল্লী বিদ্যুতের পুঠিয়া জোনাল অফিসের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৭টি স্যাটেলাইটস টিভি চ্যানেলের (ডিস লাইন) সংযোগ সরবরাহকারী এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন (ওয়াইফাই) সংযোগ সরবরাহকারী প্রতিষ্টান রয়েছে পাঁচটি। এসকল সংযোগ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিস লাইন সম্প্রসারণ ও গতি সঞ্চালন করতে এমপ্লিফায়ার (পরিবর্ধক) ও ওয়াইফাই কন্টোলার ইএমসি ব্যবহার করছেন।

যা ব্যবহারে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন। আর এ সকল সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় আড়াই হাজার এমপ্লিফায়ার ও ইএমসি কন্টোলার অবৈধ বিদুৎ সংযোগের মাধ্যমে পরিচালনা করছেন। প্রতিটি কন্টোলার মাসে ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। সে হিসাবে তারা প্রতিমাসে ২৫ হাজার ইউনিট অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। যার বানিজ্যিক হিসাবে দাম হয় প্রতিমাসে দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা।

আরমান আলী নামের একজন স্কুলশিক্ষক বলেন, মাস শেষে বিদ্যুৎ অফিস নানা অযুহাতে প্রতিটি বিলে গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। অথচ তারা আমাদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত অর্থগুলো অবৈধ সংযোগের ভুর্তুকি সমন্বয় করছেন। বিষয়টি অধিকাংশ গ্রাহক বুঝতে পারছেন না। যার কারণে তারা মাসের পর মাস বিদ্যুৎ অফিসকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আসছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংযোগ ব্যবসায়ীরা বলেন, কন্টোলারগুলোতে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করা হলেও পল্লী বিদুৎ অফিসের সাথে মাসিক একটি চুক্তি করা আছে। সেই সাথে প্রতিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল সদস্যদের বাসায় ফ্রি ডিস ও ওয়াইফাই কানেকশন দিতে হয়।

হাফিজুর রহমান নামের একজন ডিস লাইন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কন্টোলারগুলো ব্যবহার করতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন। তাই আমাদের সকল কন্টোলারগুলো সহজেই সংযোগ পেতে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে লাগানো হয়। তবে বৈধ ভাবে কোনো ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না। সকল ব্যবসায়ীকে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের মাসিক সুবিধা দিতে হয়। তাদের সাথে একটি চুক্তি আছে। আমরা মাস শেষে চুক্তি মোতাবেক তাদের টাকা দিয়ে থাকি।

এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনে পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াকুব আলী শেখ বলেন, ডিস ও ওয়াইফাই ব্যবসায়ীরা অবৈধ সংযোগে তাদের কন্টোলারগুলো ব্যবহার করছে এটা সঠিক। তবে কার অনুমতিতে বা কিভাবে ব্যবহার করছেন সেটা আমার জানা নেই।

তারা দীর্ঘদিন থেকে এভাবেই চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। এটা সারাদেশেই হচ্ছে। মাসিক চুক্তি ও ফ্রি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারও সাথে আমার কোনো চুক্তি নেই। আমি নিজে টাকা দিয়ে ডিস ও ওয়াইফাই ব্যবহার করি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ