Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

ওএমএস কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন, ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে!

এইচ এম শাহনেওয়াজ: পুঠিয়ায় ওএমএস এর খাদ্য বিক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন ভীড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম থাকায় চাউল আটা কিনতে আসা অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

ওএমএস এর খাদ্য বিক্রেতারা বলছেন, আমাদের যে পরিমান বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, তাতে অনেকেই পাচ্ছেন না। তারা খালি হাতে ফিরছেন। তবে ভুক্তভোগিরা দাবী করছেন, খোলা বাজারে চাল-আটার অনেক দাম। সংসার খরচে একটু টাকা বাঁচাতে অনেক পরিবার এখানে লাইনে দাঁড়াছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ৩০ জুলাই থেকে সরকারী নির্দশনা মোতাবেক সারাদেশে পৌরসভা এলাকায় ওএমএস চালু করা হয়। এরপর কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর চলতি জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে আবারো ওএমএস এ চাউল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। আর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে প্রতিদিন দেড়টন চাউল ও দেড়টন আটা সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সুবিধায় জনপ্রতি ৫ কেজি চাউল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারবেন। আর প্রতি কেজি চাউলের দাম ৩০ টাকা ও আটার দাম ১৮ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

পুঠিয়া স্টেডিয়াম মাঠে ওএমএস-এর চাউল-আটা নিতে আসা শারমিন বেগম বলেন, আমার পরিবারে ৫ জন সদস্য। আর উপার্জনকারী একজন। বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশী। তাই সপ্তাহে দুইদিন এখান থেকে চাউল আটা কিনতে আসি। তবে লোকজন অনেক হয়। আর সে তুলনায় চাউল আটা অনেক কম। যার কারণে মাঝে মধ্যে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। তিনি বলেন, সংসারের খরচ থেকে কিছু টাকা বাঁচাতে এখানে ছুটে আসি। আমার মত অনেকেই এখানে আসেন।

অপর একটি চাউল আটা বিক্রয় কেন্দ্র পুঠিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ। সেখানে চাউল আটা কিনতে আসা আমরুল ইসলাম নামে একজন বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে অল্প আয়ের মানুষেরা পরিবার নিয়ে অনেক খুব কস্টে দিন পার করছেন। এর মধ্যে বাজারে চাউল, ডাউল, তেলসহ বিভিন্ন খাবার জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। যার কারণে বেশীর ভাগ পরিবার গুলো খরচ কমাতে ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্রে আসছেন। তবে বিগত সময় মাঝে মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টিসিবি থেকে চিনি, ডাউল ও তেল বিক্রি করতে আসতো। যা গত কয়েক মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের অল্প আয়ের মানুষদের কথা বিবেচনা করে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান ওএমএস ও টিসিবির খাদ্য ক্রয়ের সুযোগ দেয়া হোক।

ওএমএস বিক্রয়কারীরা বলেন, আমরা যে পরিমান চাউল আটা পাচ্ছি তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। লোকজন এতো বেশী যে, চাউল আটা গুলো বিক্রি শুরু করলে তাড়াতাড়ি তা শেষ হয়ে যায়। আর লাইনে থাকা বেশীর ভাগ লোকজন খালি হাতে ফিরছেন। বিষয়টি খুবই খারাপ লাগলেও আমাদের কিছুই করার নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাস্মদ আলী বলেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক পৌরসভা এলাকার তিনটি পয়েন্টে প্রতিদিন ওএমএস মাধ্যমে মাথা পিছু ৫ কেজি চাউল ও ৫ কেজি আটা দেয়া হচ্ছে। যে পরিমান খাদ্য বরাদ্দ বা বিক্রি করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, বরাদ্দ বাড়াতে ইতিমধ্যে উপর মহলে অবহিত করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ