বর্তমানে বাজারে সরিষার দাম ও চাহিদা ভালো। তাই হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর কৃষকেরা সরিষার ফলন ভালো পাবেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইন বলেন, চলতি বছর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সরিষা চাষ হয় ২ হাজার ৭৬৯ হেক্টর জমিতে, যা গত সরিষার চাষ করা হয়েছে। এ বছর পুঠিয়া উপজেলা সদরের সরিষাখেত। বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৫ হেক্টর যথাসময়ে তদারকি থাকায় এবার বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রতি হেক্টরে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ দশমিক ২ টন। এর মধ্যে বারি ৯, ১৪, ১৫, ১৭ ও টরি-৭। এবছর পুঠিয়ায় ৭ জাতের সরিষার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং বাজারে সরিষার চাহিদা থাকায় এর চাষ বেড়েছে। সেই সঙ্গে চাষিরা দামও ভালো পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে এবার অনেক চাষি সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
পুঠিয়া সদর এলাকার সরিষাচাষি চাষী আবুল হোসেন বলেন, গেল দুই বছর ধরে সরিষার চাহিদা বেশি থাকায় এবছর চাষ বেশি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বানেশ্বর হাটে পুরোনো সরিষা ৪ হাজার তিনশত টাকা এবং নতুন সরিষা ৩ হাজার আটশত টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরিষা ব্যবসায়ী লুৎফর হোসেন বলেন, বর্তমানে লোকজন অনেক সচেতন। তারা সয়াবিন তেল পরিহার করছেন। আর সরিষার তেল ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে বাজারে সরিষার চাহিদা বেড়েছে। চাষিরাও দাম ভালো পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সরিষার ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়াও এবারের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ভালো ফলন আশা করা যায়। আমাদের উপজেলায় কৃষকরা সরিষা চাষের প্রতি যে উদ্বুদ্ধ হয়েছে তেমনি সারা দেশের কৃষকরা এমন উদ্বুদ্ধ হয় তাহলে বাজারে তেলের চাহিদাটা অনেকটাই পূরণ হবে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ