উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফরিদ হোসাইন জানান, উপজেলায় এবার সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৬১০ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি সরিষার আবাদের পরিমাণ তিন হাজার হেক্টর। এর মধ্যে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর ও আলীপুর গ্রামেই প্রায় ৮০ একর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বারি সরিষা-১৪, ১৫ বিনা সরিষা ৪, ৯ জাতের সরিষা আবাদ করছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, রেকর্ড পরিমাণ সরিষার চাষ এ গ্রামে এবারেই প্রথম। আগে পেয়াজ, ধান, আলু, গম, ভুট্টা আবাদ করা হতো। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের উৎসাহে এবার শ্যামপুর, আলীপুর ও পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের প্রায় ৮০একর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সরিষার বীজ বিনামূলে কিছু কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন উপজেলা কৃষি অফিস। এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ারও সম্ভবনাও দেখছেন তারা।
আলীপুর গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলী,বারেক মিঞা বলেন, আগে পিয়াজ, আলু, ধান, গম আবাদ করতাম, কৃষি অফিসারদের পরামর্শে এবার জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। যা ২-৩ হাজার টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি ৭-৮ মণ করে সরিষা উত্তোলন করা যায়। আর বাজারে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারি।
অন্যদিকে এ উপজেলায় ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হওয়ায় মৌ-চাষী লিয়াকত রানা আলীপুর ওকাশিপুর এলাকায় ৯০টি মৌচাক বাক্স বসিয়ে সপ্তাহে, প্রায় ২০ কেজির অধিক খাঁটি মধু সংগ্রহ করছেন। প্রতি কেজি মধু ৩৫০ থেকে ৪শ টাকায় তিনি বিক্রি করছেন। শীতের এই মৌসুমে গ্রামের মানুষেরা নির্ভেজাল খাঁটি মধু হাতের নাগালে পাওয়ায় খুশিতে আত্নহারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, সরিষা আবাদ খুব প্রয়োজনীয় একটি ফসল। আমি তাদের বুঝিয়ে এবারে উপজেলার সরিষা আবাদে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি করে ব্যাপকভাবে এ এলাকায় সরিষার আবাদ করাতে পেরেছি।
0 মন্তব্যসমূহ