নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক জিএম কিবরিয়া বাবা, হাফেজ মোঃ নুরুজ্জামানে ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী আজ। তিনি ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ডায়বেটিস সহ নানাবিধ রোগের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া প্রর্থনা করেছেন।
শুক্রবার বাদ জুম্মা তার স্বরণে দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এসময় তার স্মৃতি সরণ করে নানা ঘটনা বর্ণনা করা হয়। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
হাফেজ মোঃ নুরুজ্জামানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান সাংবাদিক জিএম কিবরিয়া জানান, আমার বাবা অত্যন্ত ভালোমানুষ ছিলেন। কখনো কারো মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে দেখিনি। কখনো নামাজ ছাড়তে, মিথ্যা বলতে ও দেখিনি। বছরখানেক আগে বলতেন আমি হজ্জ্বের মাসেই মারা যাবো। জীবনে তার ইচ্ছে ছিলো পবিত্র হজ্জ পালন করা সেই লক্ষে হজের পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেও কোভিড (১৯) জন্য হজ্জ ভিসা বন্ধ হলে যেতে পারেনি। আকস্মিক ভাবে হজ্জ্বের মাসেই তিনি মারা যান। আমার বাবা সকল দল মতের মানুষের সাথে মিশতে ও কথা বলতে অনেক ভালবাসতেন। কখনও কল্পনাও করিনি তার মৃত্যুতে এতো মানুষের অশ্রু ঝরবে।
সকলে বাবার জন্য দোয়া করবেন। তিনি কোনো ভুল করলে কারো মনে কষ্ট দিলে, আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিবেন।
তার সবথেকে বড়ো সন্তান গোলাম সারোয়ার জানান, বটবৃক্ষ যেমন ছায়া দেয়, শীতল বাতাস দেয়, তেমনি একজন পিতা তার সন্তানদের বটবৃক্ষের মতো আগলে রাখে। তেমনি ছিলেন আমার পিতা। তিনি ছিলেন বটবৃক্ষের মতো, সবাইকে আগলে রাখতেন । আজকে দেখতে দেখতে দুটি বছর পার হয়ে গেল, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ইহকাল ত্যাগ করেছেন। যে যার কর্ম ব্যস্ততায় হয়তোবা আব্বুর কথা ভুলে গেছে। কিন্তু বাবার স্মৃতি আমিতো ভুলতে পারি না। প্রতিটা ক্ষণে প্রতিটা মুহূর্তে তার কথা উপদেশ স্বরণ করি । আর দোয়া করি রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আব্বুকে বেহেস্তের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।
হাফেজ নুরুজ্জামান কর্মজীবনে বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে ইমামতী করেন। যশোর সেনানিবাসে সৈনিকদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ একটানা ৪৩ বছর দুর্গাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসময় মসজিদের উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন তৎপরতা চালান সেই সাথে এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের লক্ষে কাজ করেন। লোকমুখে তার বিশেষ একটি গুনের কথা সোনা যায়, কারো মৃত্যুর সংবাদ শুনলেই অধিকাংশ জানাযায় তিনি উপস্থিত হইতেন।
সংসার জীবনে তিনি ৫ সন্তানের জনক। ৩ পুত্র ও ২ কন্যা ১ স্ত্রী রেখে পরলোক গরম করেন। দিনটি স্বরণ করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মন থেকে হাফেজ মোঃ নুরুজ্জামানের জন্য দোয়া করবেন এমনটাই প্রত্যাশা তার পরিবারের।
0 মন্তব্যসমূহ