Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ



নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অপপ্রচার করে তালিকাভূক্ত মাদক কারবারির দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের সফল অভিযানকে ব্যার্থ করতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে পুঠিয়া দুর্গাপুর এলাকায় রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে একাধিক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ। এ কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। ডিবি পুলিশের এমন অভিযানের কারনে আতংঙ্কিত হয়ে উঠে মাদক কারবারিরা। এমন অভিযান ব্যহত ও বিতর্কিত করতে মাদক ব্যবসায়ীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে, মিথ্যা সাক্ষী সাজিয়ে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশ ও পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে বিতর্কিত করার অপচেস্টা চালাচ্ছে মাদক কারবারিদের একটি চক্র ।

এ ধারাবাহিকতায় রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুরাদ হোসেন ইতিপূর্বে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ও পরবর্তীতে নভেম্বর মাসে পরপর দুইবার রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে রাজশাহীর এসপি বরাবর পরপর ২ বার অভিযোগ দাখিল করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং তদন্ত কমিটি সত্যতা না পাওয়ায় এসআই আব্দুর রহিমকে উক্ত ঘটনা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। কিন্তু তারপরেও এসআই আব্দুর রহিমের পিছু ছাড়েননি মুরাদ হোসেন। একাধিক মাদক বিরোধী অভিযান কাল হয়ে গেছে এ পুলিশ কর্মকর্তার। এসআইএর বিরুদ্ধে বার বার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করছেন মুরাদ হোসেন।  কারন সে এলাকার চিহৃত মাদক কারবারি। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহেরপুর গ্রামের মুরাদ হোসেন আওয়ামী নেতাদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু কখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তার মাদক কারবারে জড়িয়েছেন ৫ থেকে ১০ জন যুবককে। মুরাদ আড়ালে থেকে তার বাহিনী দিয়ে তার সব মাদক কারবারি নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। তার মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের হানা দেয়াই তিনি বিভিন্ন কৌশলে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।

পুরানতাহেরপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, মুরাদ হোসেন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী । সে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল এবং রাজনীতির আড়ালে সে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। স্থানীয় পুলিশ তাকে কয়েকবার ধরলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে ছাড় পেয়ে যান এই মুরাদ হোসেন। মূলত এনজিও কর্মীর বিষয়টাও তার টাইটেল মাত্র। আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন সে একজন প্রকৃত অর্থে মাদক ব্যবসায়ী।

অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার একজন তরুন রাজনীতিবিদ জানান, মুরাদ হোসেন মূলত আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল স্থানীয় এমপি এবং ক্যাডাদের সাথে ছিল সক্ষতা। সেই আলোকে মুরাদ হোসেন মাদক ব্যবসার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে ফেলেছিলেন। স্থানীয় বেকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে সে তার মাদক ব্যবসা চালাত। ৫ আগস্ট এর পর নিজেকে বাঁচানোর জন্য সে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়া এবং এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে বাঁচতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।

তিনি আরো জানান, দূর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতো মুরাদ হোসেন। মুরাদ হোসেনের একাধিক ছবিও রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ডিবির এসআই আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, মুরাদ হোসেন এ পর্যন্ত আমার নামে পরপর দুইবার রাজশাহী জেলা এসপির কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পর পর দুইবার রাজশাহী জেলার দুইজন এএসপি তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। উক্ত রিপোর্টে আমি নিরপরাধ বলে পরিগণিত হই। তার মাদক কারবারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার কারনে সে মিথ্যা অপপ্রচার করছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ