এদিকে রপ্তানি উপযোগী ও মানঘোষিত এই আলুর প্রদর্শনী ক্ষেত ঘিরে নতুন চাষিরা আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাজশাহী জোন সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে দুটি উপজেলার বীজ উৎপাদন এলাকায় প্রাথমিক ভাবে ২০ একর জমিতে রপ্তানি উপযোগী এস্টারিক্্র জাতের আলু রোপন করা হয়েছে।
এর মধ্যে তানোর উপজেলায় দুটি স্থানে ১৮ একর এবং পুঠিয়া উপজেলায় একটি প্লটে ২ একর জমি রয়েছে। চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদনের জন্য অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় আশানুরুপ ফলন আশা করা হচ্ছে। দেখতে প্রায় কার্ডিয়ান জাতের মত আকৃতির এই আলু প্রতি একরে ৯ থেকে ১০ মে.টন উৎপাদিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
পুঠিয়া উপজেলায় বিএডিসির বীজ আলু উৎপাদনকারী বøক লীডার অধ্যাপক মুন্সি শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, অফিস আমাকে এবার বিদেশে রপ্তানি উপযোগী এস্টারিক্্র জাতের নতুন আলুর বীজ সরবরাহ করেছেন। যা একই প্লটে দু’একর জমিতে রোপন করা হয়েছে। সাঠিক মাত্রায় পরিচর্যা ও তদারকির ফলে এই ক্ষেতে রোগমুক্ত আলু উৎপাদন হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আলুর পরিপক্কতা আসবে। তিনি আরো বলেন বিদেশে রপ্তানি উপযোগি এই আলু উৎপাদনে আমাদের অঞ্চলে নুতন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।
ইতিমধ্যে অনেক চাষিরা রপ্তানি উপযোগী এই আলু চাষে অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উৎপাদিত আলু গুলো যথা নিয়মে রপ্তানি করতে পারলে আগামি দিনে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন।
এস্টারিক্্র আলুর ক্ষেত দেখতে আসা আবুল কালাম নামের এক চাষি বলেন, বাজারজাতে অব্যবস্থাপনার কারণে মাঝে মধ্যেই আলু চাষিদের লোকসান গুনতে হয়। গত মৌসুমে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় অনেকেই এবার আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
এবার উৎপাদিত আলুর সঠিক দাম পাবেন কিনা তা নিয়ে চাষিরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তবে যথা নিয়মে আমাদের দেশে উৎপাদিত আলু বিদেশে রপ্তানি হলে চাষিদের লোকসান গুনতে হবে না।
এ বিষয়ে বিএডিসির রাজশাহী জোনের উপপরিচালক (বীজ) হাসান তৌফিকুর রহমান শামিম বলেন, বাহিরে রপ্তানি উপযোগী এস্টারিক্্র জাতের আলু দু’টি বীজ উৎপাদন বøকে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে। মাঠ কর্মকর্তা ও চাষিদের সঠিক তদারকির ফলে আলূ বøক গুলো খুবই সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।
আমাদের এলাকার আবহাওয়া ও মাটি এই আলু উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। পাশাপাশি উৎপাদিত ওই আলু রপ্তানি প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করা হলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন।
0 মন্তব্যসমূহ