Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

পুঠিয়া পৌরসভার অগ্রিম ভাতা তুলে সমালোচনায় নবনির্বাচিতরা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি জানপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতাও বকেয়া পড়ে আছে। দ্বায়িত্ব নেয়ার চার দিনের মাথায় নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অগ্রিম চলতি মাসের সম্মানি ভাতা উত্তোলন করায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে অস্থায়ী কর্মচারীরা দীর্ঘ ৯মাস যাবত কোনো বেতন-ভাতা না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পৌরসভা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দ না থাকায় সাবেক জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা বকেয়া পড়েছে ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা। স্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৪ টাকা ও চুক্তিভিক্তিক ২৮ জন কর্মচারীদের ৯ মাসের বকেয়া রয়েছে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪০ টাকা। এদিকে গত ৩ ফেব্রæয়ারী নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তাদের দ্বায়িত্ব নেয়ার ৪ দিনের মাথায় ৭ ফেব্রুয়ারী পৌরসভার তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে জনপ্রতিনিধি ও স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলতি মাসের অগ্রীম বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়।

সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, দীর্ঘদিনের বকেয়া ফেলে রেখে কিভাবে অগ্রীম বেতন-ভাতা দেয়া হলো তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমি লোকমূখে শুনেছি। আমার জানামতে পূর্বের বেতন-ভাতার জের আগে দেয়ার কথা।

চুক্তিভিক্তিক কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে আমরা ২৮ জন চুক্তি ভিক্তিক কর্মচারী হিসাবে কাজ করছি। দীর্ঘ ৯ মাস যাবত পৌরসভা থেকে আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেয়া হয় না। যার কারণে আমাদের মধ্যে অনেকেই চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসারের খরচ চালাচ্ছেন। অনেকেই এক বেলা কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। অথচ জনপ্রতিনিধিরা দ্বায়িত্বে আসার সপ্তাহ না যেতেই তাদের অগ্রিম ভাতা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে পৌরসভার হিসাব রক্ষক বিপ্লব কোনো প্রকার বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম অগ্রীম বেতন-ভাতা উত্তোলণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অগ্রীম বেতন-ভাতা দেয়া না দেয়ায় কোনো সমস্যা নেই। তবে যারা বকেয়া পাবেন তাদেরও পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আল মামুন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ