মৃত নুপূর দুর্গাপুর পৌর এলাকার বহরমপুর গ্রামের চয়েন উদ্দিনের কন্যা। সে দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি নিজ পিতা চয়েন উদ্দিন ও সৎ মা রোকেয়া বেগমের সাথে জমি রেজিষ্ট্রি করা নিয়ে বাগবিতন্ডা হয় কলেজ ছাত্রী নূপুরের।
বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে পিতা চয়েন উদ্দিন ও তার সৎ মা রোকেয়া বেগম নুপূরকে শারীরিক নির্যাতন করে।
কলেজ ছাত্রী নূপুর লজ্জায় ঘৃনায় নিজ বাড়িতে সবার অজান্তে আগাছানাশক বিষপান করে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে নূপুরকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসে।
নূপুরের পরিস্থিতি অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসারত ডাক্তার জানান, আগাছানাশক বিষপানের কারনে কলেজ ছাত্রী নূপুরের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। কয়েকদিন পরে হাসপাতাল থেকে নূপুরকে বাড়ি নিয়ে আসে।
১৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাত্রি সাড়ে ৭ টার দিকে নিজ বাড়ী বহরমপুরে মারা যায় কলেজ ছাত্রী নূপুর।
নূপুরের নানা আব্দুল লতিফ দুর্গাপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অভিযোগ করে জানালে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ