Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

পুঠিয়ায় শিক্ষক হত্যার মূল আসামীদের আটক ও বিচার দাবী

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক সোহেল রানার (৩৫) দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় সভায় দোষীদের আটক ও সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিত করণের দাবী করেছেন বক্তরা।

উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের আয়োজনে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অডিটরিয়াম হল রুমে শোক জ্ঞাপন, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কাঠালবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রশিদ। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও নিহত শিক্ষক সোহেল রানার পরিবারে লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

নিহত স্কুল শিক্ষক সোহেল রানার পিতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলী বলেন, আমার সহজ-সরল ছেলেকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে ভাদু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম অন্যতম। এছাড়া তার সহযোগি আপন ভাই মাজেদুল, প্রতিবেশী সুলতান ও জুবায়ের লাঠি দিয়ে আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার দোষীদের ফাঁসি চাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ নিহত শিক্ষক পরিবারের প্রতি শোক জ্ঞাপন করে বলেন, এই মামলায় তালিকাভূক্ত সকল আসামীদের আটক করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভূক্তভোগি পরিবার যেনো সুষ্ঠ বিচার পান সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

বেলপুকুর (আরএমপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, শিক্ষক হত্যা মামলার আসামীদের আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারী সকালে মাহেন্দ্রা বাজারে একটি শালিস বৈঠকে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হোন দোমাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার একদিনের মাথায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়। পুলিশ ওই রাতেই মাজেদুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ