তিনি নিজেই অস্ত্রপচার সম্পন্ন করেন। সফল অস্ত্রপচারে প্রসূতি মায়ের কোলজুড়ে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। আছিয়া বেগম উপজেলার পানানগর গ্রামের রুবেলের স্ত্রী।
নবজাতক ও মা উভয়ই সুস্থ রয়েছে।
এদিকে প্রথম সিজারিয়ান হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছিয়া ও তাঁর সন্তানকে দেখতে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গর্ভবতী এক অসহায় নারীকে নিজ খরচে সিজারিয়ান অপারেশন করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান ব্যবস্থা চালু হল। এতে করে অসহায়, দরিদ্র ও গর্ভবতী নারীদের জেলা পর্যায়ে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অল্প খরচে সিজারিয়ান করানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার পানানগর গ্রামের রুবেলের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩৫) সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। অপারেশন থিয়েটারের টিমে ছিলেন গাইনী কনসালটেন্ট ডা. হামিদা পারভীন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরওম) ডা. মেহেদী হাসান, মেডিকেল অফিসার ডা. অশোক কুমার। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবা খাতুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবা খাতুন জানান, এখন থেকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হবে। যে সব মা বোনেরা টাকার জন্য সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেনা আমরা বিনামূল্যে তা করে দিব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে অজ্ঞান (অবস) ডাক্তার নেই। বাহির থেকে নিয়ে প্রথম সিজারিয়ান করা হলো। এ বিষয়ে আমরা জেলা সির্ভিল সার্জন মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। হয়তোবা আগামীতে আমরা অজ্ঞান (অবস) ডাক্তার পাবো। তাহলে আমাদের কাজের পরিধি আরো বাড়বে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক অসহায় প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান মধ্যে দিয়ে এক মাইল ফলকের সৃষ্টি হলো। এ জন্য তিনি নবাগত টিএইচও ডা. মাহবুবা খাতুনের ভূয়াসী প্রসংসা করেন।
তিনি বলেন, তার প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ধারা অব্যহত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ