এক শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, আবদুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী লীগের থানা ও জেলার বিভিন্ন পদে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ অলংকৃত করেছেন।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তাঁর সাহসী ও ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার দেখতে পেয়েছিলাম।
তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকের কড়া রক্তচক্ষু অগ্রাহ্য করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ মহান জাতীয় সংসদে বাতিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বিচারিক আদালতে সব প্রক্রিয়া মেনে সম্পন্ন করতে সব রকম সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। সব ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে উচ্চ আদালতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল চ্যালেঞ্জ করে করা রিট মোকাবেলা করেছিলেন। দলের দুঃসময়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবার সাহস ও উৎসাহ জোগাতেন।
তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা এবং আইনজীবীরা একজন বলিষ্ঠ অভিভাবক হারালেন।
সাংসদ ডাঃ মনসুর রহমান মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
0 মন্তব্যসমূহ