সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সর্বত্র হোটেল ও চায়ের দোকানগুলোতে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সবচেয়ে বেশী। এ গুলোর মধ্যে প্লেট, পানির গ্লাস, চা ও কফির কাপ বেশী। ওই ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার শেষে যেখানে সেখানে তা ফেলে দেয়া হচ্ছে।
আর বেশীর ভাগ হোটেল ও চায়ের দোকান মালিকরা ওয়ানটাইম পণ্যগুলো ধ্বংস না করে আশে পাশের অব্যবহৃত স্থান, পানি নিস্কাশনের ড্রেনগুলোতে তা ফেলে দিচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে সারা দেশেই ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে চলতি বছর দেশে করোনা মহামারির কারণে এর ব্যবহার কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর গ্রাহকদের ব্যাপক চাহিদার কারণে বর্তমানে সকল বড় মুদি দোকানগুলোতে ওয়ানটাইম বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে গড়ে প্রতিদিন এই উপজেলায় ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদা কমপক্ষে এক টন। আর এগুলো হোটেল ও চায়ের দোকানগুলোতে বেশী ব্যবহার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে চায়ের দোকান ও হোটেলগুলোতে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ব্যবহৃত বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার কারণে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিন ব্যবহারের আইনী বিধি নিষেধ রয়েছে।
তবে এখনো পর্যন্ত ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্যের ওপর কোনো আইনী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা নির্দেশনা পাইনি। আর ওয়ানটাইম পণ্যের বিষয়টি পরিবেশ বান্ধব কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ