গত ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলার ঝলমলিয়া বাজার এলাকার খান মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এই মার্কেটের মালিক ইসলাম খান ও তার ছোট ভাই আউব খান। ইসলাম খান বাড়িতে থাকলেও দীর্ঘদিন যাবৎ আউব খান প্রবাসে বসবাস করেন।
সম্প্রতি তাদের জমিজমা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক ভাবে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সে সূত্রে দু’দিন আগে রাতের আধারে ইসলাম খার পরিবার মার্কেটের মধ্যে দেয়াল তৈরি করেছেন। এতে করে আউব খানের অংশে থাকা ৫টি দোকানঘর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
মার্কেটের ব্যবসায়ী ফেরদৌস আলম বলেন, আজ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। অথচ এসে দেখি দোকানে সাটার বরাবর ইটের দেয়াল দেয়া হয়েছে। সামনে ঈদ আসছে এভাবে দোকান বন্ধ থাকলে আমাদের পথে নামতে হবে।
আমরা এখানে কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছি। দোকান মালিককে আমরা প্রতিমাসে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করি। ভাইদের দ্বন্দ্বে আমাদের কেন হয়রানির শিকার করা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।
প্রবাসী আউব খান মুঠোফোনে বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর থেকে সৌদি আরবে থাকি। সে সুবাদে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির অংশ জবর দখল করে রেখেছিল আমার ভাইয়েরা। সম্প্রতি আইনী লড়াইয়ে ওই সম্পত্তির অংশ আমি দখল নিয়েছি। আর এই কারণে তারা আমার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতে এই অংশে দেয়াল তুলেছে। বিষয়টি আমি আইনী ভাবে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে ইসলাম খানের ছেলে আবু বক্কর রিটন বলেন, মার্কেটের যাতায়াতের যে অংশ রয়েছে তা আমাদের সীমানার মধ্যে পড়ে। চাচার অংশে আমরা কোনো প্রাচীর তুলিনি। আর আমাদের পুরো জায়গা বাটোয়ারার মাধ্যমে ভাগ করা আছে।
0 মন্তব্যসমূহ