তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা কাজ করছি। এখন আর কিছুই বলতে চাচ্ছিনা।’
নিহতে ছেলে আতিকুর রহমান বলেন, আমার মায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের আজ চারদিন পেরিয়ে গেলো। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে চিহ্নিত বা গ্রেপ্তার করতে পারনি। আর কি কারণে মা হত্যার শিকার হতে হলো তাও অজানা। আইনের কাছে এখন এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার আশা করছি।
মরিয়ম বেগম নামের এই গ্রামের একজন গৃহবধূ বলেন, গ্রামের অনেক নারীরা ছাগল-গরু পালন করেন। তারা দিনের বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন কাজে বিলে সময় পার করেন। এর মধ্যে আতিকা বেগম বিলে ছাগল চড়াতে গিয়ে নির্যাতন ও জবাই করে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। কে বা কারা তাকে মেরে ফেলেছে তাও এখনো জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে গ্রাম জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখন নারীরা ভয়ে আর বিলে যেতে চাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও আটক করতে আমাদের লোকজন কাজ করছেন। আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এর একটা সুরাহা করতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই বিকালে বিলে ছাগল চড়াতে যান উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া-কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত আতাহার আলীর স্ত্রী ও চার সন্তানের জননী আতিকা বেগম (৪৫)। এরপর যেকোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে একটি পাটখেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পর তার হাতের রগ ও গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ওই রাতেই পুলিশ তার বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পরের দিন তার ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
0 মন্তব্যসমূহ