উপজেলার রৈইপাড়া গ্রামের মজিবর (৪২) ইসলামের বাড়িতে গত ৩ জুন শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে আহত মজিবর ইসলাম জানান, আম বাগান নিয়ে পূর্ব থেকেই জলিল দের সাথে বিরোধ চলছিলো। তাদের বাবার ভাগ-করা আম বাগান তারা মানবে না। আমার অংশ ভোগদখলের উদ্দেশ্যে তারা শক্তি প্রদশর্ন করলে সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা চালাই।
তারা আমাকে মারপিট করার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে এসে জলিল ওরফে (জলিল ডাক্তার), বাক্কার, জিল্লু, রহিম সহ আরও একাধিক সহযোগী লোক হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও মারধর করে। আমার উপর হামলা হলে আমার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের উপরে হামলা চালায় এসময় আমার স্ত্রী আনজুমানার বেগম (৩৫) ছেলে মিশকাত( ১৬) এমনকি আমার বৃদ্ধ মাকেও ছাড় দেইনি। সকলকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ও বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর চালায়।
পরক্ষণে রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ করি। সেই অভিযোগ তুলতে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমরা প্রাণ-সংশয়ে রয়েছি। আমি আমার প্রাপ্য অধিকার চাই। প্রশাসনের কাছে এই হামলার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
আহত বৃদ্ধা মরজিনা বেগম (৭০) জানায়, আমার ছেলেকে কিভাবে পশুর মতো পেটালো আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও একটু ছাড় দেয়নি বাঁশের আঘাতে পা ছিলে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জলিল জানায়, তাদের মারধর করা হয়নি। বাড়ি আগে থেকেই ভাঙ্গা ছিলো এগুলো আমাদের ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাশমত আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ