Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

আরেকটু আর্থিক সহায়তা পেলে বেঁচে যেতে পারে আইরিনা’র বাবা!

জিএম কিবরিয়া : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের সংগ্রামী তরুণী আইরিনা খাতুনের করোনা আক্রান্ত বাবা আব্দুল মালেক (৬০) এর অবস্থার আবনতি হয়েছে। অবস্থার আবনতি হওয়ায় গতকাল বুধবার (৭জুলাই) তাকে রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আই.সি.ইউ) নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ঔষুধ খরচের টাকা যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তরুণী আইরিনাকে। শেষ পর্যন্ত কিভাবে চিকিৎসা চালিয়ে নিবেন সেই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ওই তরুণী।

জানা গেছে, আইরিনা খাতুন গতমাসে করোনা আক্রান্ত বাবা আব্দুল মালেক (৬০) ও মা মহসিনা বেগমকে (৫০) ভর্তি করান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। সংকটাপন্ন  অবস্থায় দু'জনেই সেখানে অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন। আইরিনার বাবার অবস্থা ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। করোনা আক্রান্ত বাবা- মায়ের ব্যায়বহুল চিকিৎসা ভার সইতে না পেড়ে ফেসবুকেই সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সাংবাদিক বাবর মাহমুদ ও জিএম কিবরিয়া প্রচেষ্টায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পড়ে তৎক্ষনাৎ দুর্গাপুর উপজেলা ইউএনও মহসিন মৃধা ৫,০০০ টাকা মানবিক সহযোগিতা প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার বাবার অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হলে ডাক্তার ৬১ হাজার টাকা মূল্যের ইনজেকশন লিখেন। যা কেনার সামর্থ্য ছিলোনা তার পরিবারের। অনার্স পড়ুয়া মেয়ে বাবাকে বাঁচাতে রাজশাহীর ডিসি আব্দুল জলিলের  নিকট সহযোগিতার আবেদন করেন। দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে তাকে ৬০ হাজার টাকা সহযোগিতা প্রদান করেন ডিসি। যা দিয়ে তিনি বাবাকে ইনজেকশন কিনে দেন।

করোনা আক্রান্ত বাবা-মাকে বাঁচাতে আইরিনা খাতুন যেন এক সংগ্রামী তরুণী।

পরে এই সহযোগিতার ও সংগ্রামী তরুণীর কথা, প্রথম আলো, জাগো নিউজ সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

আইরিনা জানান, গত সপ্তাহে বাবা করোনা মুক্ত হলেও ৭৫% ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে নিঃশ্বাস নিতে ও খেতে পারছিলেন না মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে নেয়া হয় আই.সি.ইউতে। যেখানে একদিনেই ৮ হাজার টাকার ঔষধ লেগেছে। বড় এই দুই আর্থিক সহায়তা ছাড়া সহযোগিতা ছিলো খুবই নগন্য। তাদের ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে কোনোই সহযোগিতা করোনি বলে জানান আইরিনা।

আইরিনা খাতুন আরো জানান, আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। দরিদ্রতায় নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে সহযোগিতা চেয়েও বাবার চিকিৎসা ভালো ভাবে করাতে পারছি না। অবস্থার অবনতিতে বাবাকে আইসিইউ তে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৮/১০ হাজার টাকা লাগবে। আমি আর কি করতে পার?

আক্ষেপের সাথে তিনি জানান, মনে হচ্ছে দরিদ্রতার অভিশাপ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি!  সবাইকে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি একটু সহযোগিতা করুন।  আমার বাবাকে আমি  বাঁচাতে চাই। দান করতে না পারলে আমায় ধার দিন, রক্ত বিক্রি করে হলেও তা পরিশোধ করবো।

পরিশেষে বলতেই হয় পাল্টাচ্ছে যুগ হচ্ছে আধুনিক ভাঁটা পড়ছে আবেগে স্বার্থপর হচ্ছে সমাজ ব্যাবস্থা। আইরিনের মতো কাঁদবে হাজারো বোন চিরে ভিজবে না বিত্তবানদের।

আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন বিকাশ:01317153011( পারসোনাল)  ও নগদ: 01794039236(পারসোনাল) এই ফোন নম্বরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ