Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সাম্প্রতিক খবর

6/recent/ticker-posts

আগামীতে ডিজিটাল বাংলাদেশের মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হবে পানানগর: আদম আলী



স্টাফ রিপোর্টার:  সারা বাংলাদেশের মধ্যে পানানগর ইউনিয়ন হবে আগামী দিনের একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ এমন প্রত্যাশা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদম আলী। তিনি আসন্ন ২০২১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আদম আলী বলেন, আমি ২০০৩ সাল থেকে অদ্যবধি পানানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার এই দায়িত্ব পালনে পরপর দুইবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছি। আমার ইউনিয়নের মানুষ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী ভাইয়েরা আমার দলীয় কর্মকাণ্ড দেখে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের একজন দলীয় কর্মী হিসেবে সরকারের সমস্ত উন্নয়নগুলো তৃণমূলের প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নের সর্বত্র গ্রাম পাড়া-মহল্লায় যার যে অধিকার সেগুলো সুনিশ্চিত করেছি। আমার দায়িত্ব কালে কখনো কোন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নিজেকে কখনো দাঁড় করাই নি এবং আমার দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে কাজ করে দলকে বারবার বিজয়ী করেছে। বিগত সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌর নির্বাচন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সমস্ত নির্বাচনে প্রধান দায়িত্ব পালন করে দলকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা,  সাবেক যুবলীগ নেতা,  বর্তমানে প্রায় আঠারো উনিশ বছর যাবত পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে পরিচালনা করছি। এই দিক থেকে আমি দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বলতে চাই যে আমি দলের একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আগামী এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন এটা আমি আশাবাদী।

আদম আলী বলেন, আমাকে যদি জনগণ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটে নির্বাচিত করেন এই ইউনিয়ন হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের রুপকার উন্নত বাংলাদেশের যতগুলো সরকারের ভিষণ এবং পদক্ষেপ থাকবে সেগুলো আমি পূঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। সেই সঙ্গে সঙ্গে অত্র ইউনিয়ন হবে একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন। সমস্ত বাংলাদেশের মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জিং ইউনিয়ন হিসেবে এই ইউনিয়নকে আমি সুন্দর ও সার্থক ভাবে গড়ে তুলতে চাই। এটা আমার অঙ্গিকার।

এবং এই ইউনিয়ন পরিষদে সর্বসাধারণ এই ইউনিয়নের যারা ভোটার সাধারণ মানুষ সকল মানুষকে নিয়ে তাদের এই চাওয়া-পাওয়া এবং অধিকারগুলো যেন সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে বণ্টন হয়। মানুষ যেন এই পরিষদে এসে কখনো ব্যর্থ হয়ে তাঁর অধিকার বঞ্চিত হয়ে ফেরত না যায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করবো। সেই সঙ্গে সঙ্গে দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই জনগণের আশা এবং প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করবো। জনগণ যেন এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের স্থানীয় সরকারের সকল সুবিধা বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সেটা পায় জনগণের এই অধিকার নিয়ে কাজ করবো এই আশা ব্যক্তকরছি।

তিনি বলেন, আমাকে যদি দল নমিনেশন দেয় আমি আশা রাখি আমাদের দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের ইউনিয়নে যে আরো নয়জন প্রার্থী প্রার্থীতা চেয়েছেন সকলেই আমার সাথে এক হয়ে এই নৌকা প্রতীক বিজয় করে কোন বিদ্রহীপ্রার্থী থাকবেনা নৌকা প্রথীক বিজয় করবে এটা আমি আশাবাদী।  তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ আমরা তৃণমূল থেকে প্রায় তিন যুগ যাবত এই দলকে চালিয়ে আসছি।  আমরা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি দল চালাতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমরা অর্থনিতিক ও মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এই ক্ষতিগুলো আমরা তাকিয়ে আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ত্যাগ আমাদের এই দীর্ঘদিনের আশা পত্যাশাকে জীবিত রাখবেন। এবং ত্যাগী দলীয় মানুষ হিসেবে আমাকে দলের মনোনয়ন দিবেন এই প্রত্যাশা করছি।

আমি নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়নের তরুণ এবং নারীদের জন্য সরকার ঘোষিত যত প্রকারের সুযোগ সুবিধা ইউনিয়ন পরিষদে আছে সেগুলো পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বাস্তবায়ন করবো এবং নারী ও শিশুদের কে আগামী প্রজন্মের কাছে যেন আমরা সুনাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তুলতে পারি এবং নারীদের একেবারে সহজলভ্য ভাবে তাদেরকে সেবা প্রদান করতে পারি সেই প্রত্যাশা থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে দেশকে রুপান্তর করার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি তার কর্মী হিসেবে আমি চেয়ারম্যান হলে এই ইউনিয়নে যুবক-যুবতী, যারা শিক্ষিত যুবক-যুবতী আছে, তাদেরকে এই ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে, ডিজিটাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, তাদেরকে যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় সেই ব্যবস্থ অবশ্যই নিবো। সেই সঙ্গে সঙ্গে এমন একটি প্রাণবন্ত ইউনিয়ন পরিষদ একটি সুর্দশন ইউনিয়ন পরিষদ যেখানে সারা বাংলাদেশের মধ্যে পানানগর ইউনিয়ন হবে আগামী দিনের একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ এই প্রত্যাশা আমার রয়েছে। 

তিনি জানান, আমি বিগত বিএনপি জামাত সরকারের আমলে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ পাঁচটা মামলার আসামি হয়েছি বিনা অপরাধে। দলের নেতা, দল করি, আওয়ামী লীগ করি,  আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিই সেই সুবাদে আমাকে পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছিল। এবং এই নির্যাতন আমার বিভিন্ন ভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি, গ্রাম ছেড়ে এলাকা ছেড়ে অনেক সময় পালিয়ে থাকতে হয়েছে।  এবং এই বিএনপির আমলে আমাকে হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছিল। রাখে আল্লাহ মারে কে? আমি বিশ্বাস করি আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সেই সুবাদে মরতে তো একদিন হবেই তাই দলের সঠিক অবস্থা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে যতো আঘাত  আসুক না কেন এটা বুক পেতে নিবো। এই প্রত্যাশা করে আজকের এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে অনুরোধ করি আমাকে যেন নৌকা প্রতীক দিয়ে দলের মনোনয়ন দিয়ে এই তৃণমূলের মানুষের আশা এবং প্রত্যাশা পুরোন করেন করেন।

উল্লেখ্য, আদম আলী ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নাটোর এনএস কলেজ ও বগুড়া শেরপুর ডিগ্রী কলেজে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ পতন আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন।

১৯৯৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং থানা যুবলীগের সম্পাদকীয় মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ