রবিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল বাহার তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
মামলার আসামিরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কহিদুল ইসলাম, পানানগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু এমদাদুল হক ও ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমান লাল্টু।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সবুর খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব জেমস ও আহসান হাবীব রঞ্জু।
রাজশাহী জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ বিভিন্নভাবে অশালীন মন্তব্য করেন চেয়ারম্যানসহ ওই চারজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে চারজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ৩০ জানুয়ারি দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আরো বলেন, আজ দুপুরে মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ