নিহত শেরজান ওই গ্রামের মৃত নূর আলী মণ্ডলের স্ত্রী। স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। গেলো বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে হাঁটাহাটি করতে বের হন। পরবর্তীতে তিনি আর বাসায় ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তার ছেলে জিল্লুর রহমান ১৯ সেপ্টেম্বর পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় জেলেদের জালে নালা থেকে কঙ্কাল উঠে আসে। খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে শরীরে থাকায় অলঙ্কার দেখে তাকে শনাক্ত করেন। সেখান থেকেই তারা দেহাবশেষ নিয়ে যান স্বজনরা। এনিয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগও নেই।
ওসি আরো বলেন, পরিবার জানিয়েছিল, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশের বাজারে নালার পাশের দোকানে যান। দিন শেষে আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু মাস ছয়েক আগে তিনি নিখোঁজ হন। এনিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। ওই বৃদ্ধার সন্ধানে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নালায় ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ