১০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার তিনি এ প্রতিবাদ জানান। এর আগে, রবিবার (৮ জানুয়ারি) ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক চোর পলায়ন করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি, শনিবার উপজেলার উজাল খলশী গ্রামের বড় পুকুরপাড়া এর আজহারের ছেলে রানা হামিদ জৈনক ব্যক্তির পান চুরির অপরাধে আলিপুর বাজারে বেঁধে রাখে। পরদিন রবিবার ৮ জানুয়ারি ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ফোন করে এলাকাবাসী জানায়। ওই ঘটনার পরপরই পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় দুর্গাপুর থানার ওসিকে অবহিত করেন।
চোর পালানোর বিষয়ে জানা যায়, ৭ জানুয়ারি, শনিবার হঠাৎ করে ব্যাপক অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ নং কিসমত গনকৈড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। পরে আত্মীয়-স্বজনরা চেয়ারম্যানের চিকিৎসার জন্য প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়।
মূলত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ পান চুরি হওয়ার একদিন পর অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে জানতে পারে। অসুস্থ অবস্থায় থাকার কারণে সে ৮ জানুয়ারি রবিবার সারাদিন রাজশাহীতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিছুটা সুস্থতা অনুভব করলে ঐদিন সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে তার নিজের এলাকায় ফিরে আসেন। এলাকায় আসার পর চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানতে পারেন ঐদিন সকালেই চোর, গ্রাম পুলিশ ও দফাদারের সাথে ছলনা করে টয়লেট করার বাহানা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পরদিন সোমবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সহ অনলাইন মাধ্যমে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় চোর পলায়ন করেছে এমন খবর প্রকাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে ১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মাহাতাব মেম্বার তিনি বলেন, সেদিন রাতের বেলা দুজন এবং দিনের বেলা দুজন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার পাহারায় ছিলেন। পরে টয়লেটে যাবার নাম করে উক্ত চোরটি পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে দু’দিন যাবত রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন ছিলাম। বিষয়টি আমি শুনে তৎক্ষণাৎ পরিষদের একজন মেম্বারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলেছিলাম। এমনকি থানার ওসিকেও জানিয়েছিলাম। আমার প্রশ্ন আমি দুদিন যাবত রাজশাহী শহরে চিকিৎসা নিচ্ছিলাম তাহলে কি করে চোরকে আমি পালাতে সহায়তা করেছি। আমার বিরোধী গ্রুপের লোকজনরা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা ঘটনা প্রচার করছে। আমার সুন্দর পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তারা এসব করছে।
এই ঘটনার সাথে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। চোরকে যারা পাহারার দায়িত্বে ছিলেন তাদেরকে ইতোমধ্যেই বরখাস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় তিনিও জানেন। গ্রাম পুলিশ ও দফাদার তাদের যদি কোন গাফিলতি থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।
0 মন্তব্যসমূহ