নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা মাড়িয়া ইউপির সাবেক সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন মিঞার বাড়িতে হামলা মারপিট লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক মেম্বার।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, মকবুল হোসেন বাদী হয়ে ১ মোহা, চামেলী বেগম (৩৮), ২ মোঃ সোনা সরকার (৪৮) ৩ মোঃতোফাজ্জল সরকার (৫০) পিং মৃত আজগর আলী ৪ মোঃ রকি সরকার (২৫) ৫ মোঃ হযরত আলী (৩২) ৬ মোঃ তারেক সরকার (২০) ৭ মোছাঃ রোকেয়া বিবি (৪০) নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্রে মকবুল হোসেন জানান,বিবাদীগন আমার প্রতিবেশী এবং তাঁরা পরস্পর একই পরিবারের সদস্য। আমার বসত বাড়ি মাড়িয়া ইউপির চৌবাড়িয়া গ্রামে বিবাদীগনের আমার ঘর সংলগ্ন প্রতিবেশী। বিবাদীগন অনেক আগে থেকেই আমার বাড়ির সীমানার কিছু অংশ জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছিলো। যার কারনে অনেক বার বিষয়টি নিরসনের প্রয়োজনে গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, বিবাদীগন টাকা পয়সা ও জনবলে বলিয়ান হওয়ার কারনে কাহার ও কোন ফায়সালা মানে না। একদিন আমার অনুপস্থিতিতে বিবাদীগন আমার স্ত্রী সাহিদা বেগম কে অন্যায়ভাবে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়, স্থানীয় দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসায় ৫ টি সেলাই সহ ১৮ দিন চিকিৎসার ফলে সুস্থ হয়। আমি প্রতিকার না পেয়ে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতে সাক্ষ্য প্রমানে বিবাদীগন দোসী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত সাজা প্রদান করেন। বিবাদীগন বর্তমানে ও সাজা প্রাপ্ত আসামী। বিবাদীগন এতটাই বে-পরোয়া ও দুর্ধর্ষ যে, আইন আদালতের প্রতি কোন তোয়াক্কা করে না। এমন কি টাকা পয়সা থাকার কারনে দুর্গাপুর থানার কোন নির্দেশ ও মানে না। আমি একজন অসুস্থ্য, গরীব বয়ো বৃদ্ধ ব্যক্তি। কাজ কর্ম করে সংসার চালাই। বিবাদীগন পুর্ব শত্রুতার জেরে ঘটনার দিন, ২ জুলাই(রবিবার) আনুমানিক দুপুর ৩.৩০ মিনিট সকলেই এক জোট হয়ে ১ নং বিবাদী'র হুকুমে, আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্যকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুর করার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি, হাসুয়া ও দা হাতে নিয়া অতর্কিতভাবে আক্রমন করে। ১ নং বিবাদী ২ ও ৬ বিবাদী'র সহযোগিতায় আমার স্ত্রী সাহিদা বেগম কে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে মাটিতে ফেলে দেয়। অন্যান্য বিবাদীগন আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করিয়া টিনের চালার টিন নিয়া যাওয়ার সময় (এ সমস্ত বিষয়ের ভিডিও ফুটেজ আছে) সাক্ষী ১) মো. মোস্তাফিজুর রহমান (লিটন) ২) ওলী আহম্মেদ ও ৩) মোছাঃ ইরা বেগম বাধা দিতে গেলে তাদের কে মারপিট করার উদ্দেশ্যে বিবাদীগন তাড়া করে, সাক্ষীগন প্রান ভয়ে পালিয়ে যায়। বিবাদীগন তাঁদের ইচ্ছামত আমার বাড়িঘর ভাংচুর করিয়া ক্ষান্ত না হয়ে আমাদের কে মারার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে অবস্থান করে। আমি নিরুপায় হইয়া আমার পরিবারের সকল সদস্য নিয়া প্রান ভয়ে পালিয়ে যাই। লোক মুখে শুনে জানতে পারলাম যে, বিবাদীগন আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্য কে মার পিট করবে মর্মে প্রস্তুত আছে। আমি বর্তমানে পরিবার সহ বাড়ি হইতে পালিয়ে আছি। অত্র বিষয় কে কেন্দ্র করিয়া স্থানীয়ভাবে অসন্তোষ বিরাজ করছে। যাহা যে কোন সময় বিবাদীগনের মাধ্যমে স্থানীয় শান্তি ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান রহিয়াছে যাহা আমার প্রান নাশের কারন ও বটে।
ঘটনায় অভিযুক্ত মোছাঃ চামেলি বেগমের ও সঙ্গীয় লোকজনের কাউকে তাদের বসতবাড়িতে পাওয়া যায়নি তারা সকলেই আত্মগোপনে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা জানান, লিখিয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ