নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা হু হু করে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীত নিবারণে খড়কুটো জেলে উষ্ণতা খুঁজছে নিন্ম-আয়ের সাধারণ মানুষ। অর্থের অভাবে গরম কাপড় না থাকায় অনেক ছিন্নমূল, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া বয়স্ক মানুষের দুর্ভোগ উঠেছে চরমে।
সম্প্রতি বিধবা ৭০ বছর বয়সী এক নারী গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে আছেন বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন গ্রাম পুলিশ বুলবুল আহম্মেদ। বিষয়টা নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানবিক ইউএনও আব্দুল করিমের।
তাদের কথা চিন্তা করে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নিজে উপস্থিত হয়ে কম্বল বিতরণ করছেন তিনি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত পোনে ১০টার দিকে উপজেলার কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের উজালখলসী গ্রামে দুই জন ভিক্ষুক, একজন বিধবা ও শয্যাশাযী অসুস্থ নারীর গায়ে নিজ হাতে কম্বল তুলে দেন মানবিক এই কর্মকতা।
গরম কাপড় পাওয়া মুনঝরী বেওয়া বলেন, মুই স্বামী নেই। ভিক্ষা করি খাও। শীতের কাপড়ের তকনে মুই খুব কষ্টে আছনু। টিএনও ঘুম থেকে ডাইকা তুইলা কম্বল খানা হাতে দিলো। কম্বল কোনা খুব কামোত দিবে বাপু।
উজালখসী গ্রামের গ্রাম পুলিশ বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ইউএনও স্যার নিজেই তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে হাতে তুলে দেন। এদের মধ্যে দুইজন ভিক্ষুক, একজন বিধবা ও অসুস্থ নারী। এর আগে আমি মুনঝরী নামের এক বয়স্ক নারী কম্বল না পাওয়ায় ফেসবুকে পোস্ট করি। তাৎক্ষণিক ইউএনও স্যার তার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। কম্বল পেয়ে তারা খুব খুশি হয়েছেন।
কম্বল তুলে দিচ্ছেন মানবিক ইউএনও আব্দুল করিম
ইউএনও আব্দুল করিম জানান, শীতে গরম কাপড়ের জন্য বেশি কষ্টে থাকে বয়স্ক ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। এ শ্রেণীর মানুষগুলো এমনিতেই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। তাই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উপহার শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার আগে এদের মাঝে বিতরণ করেছি।
0 মন্তব্যসমূহ