নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর পুঠিয়াতে মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে
দুই সন্তানের জননী স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী নারীর পিতা পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
জানাযায়, গত ৬ মে পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর এলাকায় স্ত্রী নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,
বিবাহের পর থেকে ১নং বিবাদী শহিদুল ইসলাম (টুটুল) আমার মেয়েকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নিয়মিত নির্যাতন করে। বর্তমানে আমার মেয়ের ০২টি ছেলে সন্তান রয়েছে। দুটি সন্তানের কথা বিবেচনা করে আমার মেয়ে অত্যন্ত কষ্ট করে সংসার করে আসছে। উক্ত বিবাদী একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। ১নং বিবাদী গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত। ২নং শেফালী বেগম ও ৩নং বিবাদী হাফিজুল ইসলামের ইন্ধনে ১নং বিবাদী আমার মেয়েকে গালিগালাজ করে। উক্ত বিবাদী চরিত্রহীন এবং বিভিন্ন মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে যা এলাকার লোকজন অবগত রয়েছে। গত ০৬/০৫/২০২৫ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১২.৩০ মিনিটে পারিবারিক কলহের জেরে লোহার রড দিয়ে আমার মেয়েকে দেহের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করলে আমার মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আত্ম চিৎকার করে। ইতিপূর্বেও আমার মেয়েকে উক্ত বিবাদী কয়েকবার মারধর করে করেছে যা এলাকার লোকজন অবগত রয়েছে। আমার মেয়ে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ্য। আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে আসতে দিচ্ছে না এবং আমার মেয়েকে ১নং বিবাদী বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমি উক্ত বিবাদীর বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে উক্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগী শারমিন বেগম জানান, আমার স্বামী মাদকাসক্ত, পরকীয়া-তে আসক্ত আমায় ঠিকভাবে ভরণ পোষণ করে না। বাচ্চার ওষুধ কিনে চেয়েছি সেজন্য লোহার রড দিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার আট বছরের বড় সন্তানকে দেশে অস্ত্র নিয়ে তারা করছে তাকে জিম্মি করে রেখেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম (টুটুল) বলেন, এটা আমার পারিবারিক ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কোন মতামত দিতে পারবো না।
পুঠিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ