পৌরসভার সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে ২০০১ সালে পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া ইউপির অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত হয় পুঠিয়া পৌরসভা। বর্তমানে পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৩ জন। আর এই পৌরবাসীদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য গত প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের দক্ষিন পাশে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। এরপর ওই কুপ থেকে কখনোই পানি উত্তোলন করা হয়নি। বর্তমানে কুপটি অযতেœ অবহেলায় পতিত অবস্থায় পড়ে আছে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২০ বছরে ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নতি হলেও এখনো তার নিজেস্ব ভবন নেই। জন্মলগ্ন থেকেই পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে ভাড়া বাসা-বাড়িতে। তবে পৌরভবন নির্মাণে দু’তিনটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাসভবনের দক্ষিন পাশে ছিল প্রথম স্থানে। সে মোতাবেক ওখানে গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ওই স্থানে উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ কাজ চলছে। আর ওই কুপ ঘেষে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য কয়েক বছর আগে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করেন। কুপ খননের পর এই কাজের আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে নতুন করে পানি সরবরাহ কাজের বরাদ্দ আসলে তা অবশ্যই বাস্তবান করা হবে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা এলাকায় সুপেয়পানি সরবরাহ করতে বিগত দিনে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। আর এটি বাস্তবায়ন করেন জনস্বাস্থ্য বিভাগের গ্রাউন ওয়াটার ডিভিশন। সে সময় ওই কুপটি খনন করতে প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে সেখানে ভূমি অফিস নির্মাণ হলেও ওই কুপ থেকে আন্ডার গ্রাউন পাইপের মাধ্যমে এখনো পানি সরবরাহ করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আল মামুন খান বলেন, আমি নির্বাচিত নতুন মেয়র। আমার জানামতে পৌরসভা এখনো নাগরিকদের চাহিদা পুরণ করতে পারেনি। তবে আশা করি নাগরিকরা পর্যায়ক্রমে সকল সুবিধা পাবেন। আর যদ্দুর জানি পানি সরবাহের একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুমোদন হয়েছে। তবে এখনো তার কোনো কাগজপত্র আমরা হাতে পাইনি। আশা করি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে সকল পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানির সুবিধার আওতায় আসবেন।
0 মন্তব্যসমূহ